সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের ফলে অধিকাংশ দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক একাধিক টালবাহনার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি মাঝে 21 ও 22 শে এপ্রিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দুদিনের ভারত সফরের দিকে নজর ছিলো সকলের।
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠক শেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মোদিকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, “বিজয় মাল্য থেকে নীরব মোদির মত লোকেরা, যারা ব্যাংক দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস করে চলেছে, তাদের খুব দ্রুত ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “বেশকিছু আইনি জটিলতা রয়েছে যার কারণে আপাতত এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে সমস্যা মিটলেই আমরা ভারতের হাতে তাদেরকে তুলে দেবো।”
এছাড়াও এদিন বরিস জনসনের নিশানায় উঠে আসে চরমপন্থী গোষ্ঠী। এদিন তিনি আক্রমণের সুরে বলেন, “আমরা পৃথিবীর বুকে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে কোনোভাবেই সহ্য করব না এবং আমরা এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছি। আমরা এই শক্তির বিরুদ্ধে একটি ‘চরমপন্থী বিরোধী টাস্কফোর্স’ গঠন করতে চলেছি, যা ভবিষ্যতে ভারতকে সাহায্য করবে।” এছাড়াও এদিন ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সমুদ্রের বুকে ওঠা ঝড়ের মধ্যে ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হল অনেকটা লাইট হাউসের মত।”
মোদি-বরিস জনসন বৈঠকে যে বিষয়টির দিকে সকলের নজর ছিল, তা হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা মনে করি, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ভিতরে চলা যুদ্ধ খুব দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার এবং পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানের রাস্তা তৈরি করতে হবে।” এ ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রতি সমালোচনার সুরেবলেন, “রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাতে এক বিশাল সেনা রয়েছে। তবে এত কিছু সত্ত্বেও তিনি কখনোই ইউক্রেন দেশবাসীর আবেগকে জয় করতে পারবেন না।”
বরিস জনসনের দুই দিনের ভারত সফরে তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য যে ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করা, সে বিষয়ে মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন জনসন বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হলো ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক মজবুত করা। এজন্য আমরা ভারতে দ্রুত একটি ওপেন জেনারেল রপ্তানি লাইসেন্স আনতে চলেছি।”