বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওভালে তৃতীয় দিন শেষে এখন অনেকটাই স্বস্তিতে ভারত। দ্বিতীয় দিন শেষে যখন মাথায় ছিল ৫৬ রানের লিড, তখনও ব্যাটিং ধ্বসের দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছিল অনেককেই। কিন্তু কাল দিনের শুরু থেকেই অন্য মেজাজে ছিলেন রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুল। ৪৬ রানের মাথায় কোনভাবে রাহুলকে ফেরাতে পারলেও কাল রোহিতের বিরুদ্ধে কার্যত ব্যার্থ প্রমাণিত হতে থাকে ইংল্যান্ডের সমস্ত স্ট্রাটেজি। গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি করে রোহিত বুঝিয়ে দেন কেন তাকে বলা হয় বড় ম্যাচের প্লেয়ার।
তবে কার্যত কাল সকলের মন কেড়ে নিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা। হয়তো কাঙ্খিত সেঞ্চুরি আসেনি তার ব্যাট থেকে, কিন্তু শনিবার ওভালে তার ৬১ রানের ইনিংস সকলের জন্যই ছিল এক বড় চমক। মন্থর গতিতে ব্যাটিং করার জন্য বারবার সমালোচিত হতে হয়েছে পুজারাকে। কিন্তু কাল প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন মারাত্মক আক্রমণাত্মক। বড় শটের জন্য নিজের পছন্দের বোলারদেরও খুব সুন্দর হয় বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
ইনিংসের নটি বাউন্ডারির বেশিরভাগই কাল তিনি মেরেছেন ক্রিস ওভারটন এবং মঈন আলীর বিরুদ্ধে। বিশেষত ক্রিস ওভারটনকে তো কাল একেবারেই রেহাই দেননি পুজারা। শুধু তাই নয় কাল এতটাই রেগে গিয়েছিলেন ওভারটন, যে তাকে বল হাতে পুজারার দিকে তেড়ে আসতেও দেখা যায়। ঘটনার ভিডিও এখন রীতিমত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়, পুজারার সঙ্গে এই কান্ড ঘটানোর জন্য এখন চরম ট্রোলও হচ্ছেন তিনি। আদতে পুজারা একজন এমন ব্যাটসম্যান যিনি বোলারদের একের পর এক ভালো বল ডিফেন্স করে তাদের বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে দেন। আর রাগের বশে যখনই তারা একটি খারাপ বল করেন তখন তাকে বাউন্ডারিতে পৌঁছে দিতে কোনও ভুল করেন না তিনি। ভারতের হয়ে এই কাজ আগে করতেন রাহুল দ্রাবিড়, এখন ঠিক তারই পথ অনুসরণ করছেন পুজারা।
https://twitter.com/shivams70901101/status/1434144427551838210?s=19
ভাইরাল এই ভিডিওটি কার্যত এই ঘটনার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত। প্রথমে পুজারা ওভারটনকে ব্যাকফুটে দুটি সুন্দর চার মারেন, যা তাকে বিরক্ত করে। এরপর রাগের বশে কার্যত একটি সোজা বল করে বসেন ওভারটন। পুজারা তখন সেই বলটি সলিড ডিফেন্সে ফিরিয়ে দেন বোলারের দিকে। ঘটনাটি এই ইংরেজ জোরে বোলারকে এতটাই বিরক্ত করে যে কার্যত বল হাতে পুজারার দিকে তেড়ে আসেন তিনি এবং এমন ভঙ্গি করেন যেন পারলে পুজারাকে বল দিয়েই মেরে ফেলতেন। এই ঘটনায় এখন চরম ট্রোলড হচ্ছেন ওভারটন। তবে এই ঘটনা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় পুজারা যখন ফর্মে থাকেন তার বিরুদ্ধে বল করা সহজ নয়।