বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা অভিযানে এটাই সবথেকে বড় জয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চীনের পণ্য বহিস্কার চলা অভিযান বিগত তিন বছর ধরেই চলছে, আর এই বছরে এর সোজা প্রভাব দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবতই দীপাবলির উৎসবে চীনের সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়, কিন্তু এবছর চীনের সামগ্রী বিক্রি অভূতপূর্ব ভাবে কমে গেছে। বিগত বছরের তুলনায় এই বছরে চীনের সামগ্রী ৬০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে।
চীনের উৎপাদে ৬০ শতাংশ কম বিক্রির এই অনুপাত কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) কয়েকদিন আগে হওয়ার দীপাবলি উৎসবে দেশের ২১ টি শহরে একটি সমীক্ষা অনুযায়ী করেছে। একটি অনুমান অনুযায়ী, দীপাবলির সময় ২০১৮ সালে বিক্রি করা চীনের পণ্যের মূল্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ছিল, আর এই বছরে দীপাবলিতে চীনের সামগ্রীর বিক্রি প্রায় ৩ হাজার ২শো কোটি টাকা হয়েছে।
CAIT এর রাষ্ট্রীয় মহামন্ত্রি প্রবীণ খান্ডেওয়াল বলেন, ‘এই বছর আমরা দীপাবলি উৎসবে চীনের সামগ্রী বহিস্কার করার জন্য ব্যাবসায়ি আর আমদানিকারকদের পরামর্শ দিয়েছিলাম। আর তাঁর পরিণাম স্বরুপ আমদানিকারকেরা এবছর খুবই কম পরিমাণে সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করেছে, আর অন্যদিকে ব্যাবসায়িরাও এবছর স্বদেশী সামগ্রী কেনার উপর বেশি জড় দিয়েছে। আর তাঁর কারণেই এবছর দীপাবলিতে চীনের সামগ্রী এত কম বিক্রি হয়েছে। ”
CAIT এর সমীক্ষা অনুযায়ী, গিফট আইটেমস, ইলেক্ট্রিক্যাল গ্যাজেটস, ফ্যান্সি লাইট, বাসন আর রান্না ঘরের উপকরণ, দেব দেবীর মূর্তি, ঘর সাজানোর জিনিষ, খেলনা, ইলেকট্রনিক্স আইটেম, হ্যাঙ্গার, ল্যাম্প, হোম ফার্নিশিং আইটেম, জুতো, জামা-কাপর আর ফ্যাশান আইটেমের মতো চীনের সামগ্রী এবছর খুব কম বিক্রি হয়েছে। সমীক্ষার সময় প্রায় ৮৫ শতাংশ ব্যাবসায়ি বলেছেন যে, তাঁরা দীপাবলির সময় চীনের সামগ্রীর কম চাহিদা লক্ষ্য করেছে, আর বাকি ১৫ শতাংশ ব্যাবসায়ি বলেছেন যে, ভারতে এখনো চীনের সামগ্রীর বড় চাহিদা আছে।