বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমরা মাঝে মধ্যেই এমন কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ শুনতে পাই যা শুনে কার্যত অবাক হয়ে যেতে হয় সবাইকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শালীনতার সমস্ত মাত্রাই অতিক্রম করে যায় ওই ঘটনাগুলি। আর তার সাথে জুড়ে থাকে হিংসাত্মক ঘটনাও। যার হাত থেকে রক্ষা পান না পরিবারের সদস্যরাও। সম্প্রতি এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনা।
জানা গিয়েছে যে, আর পাঁচটা দিনের মতই বুধবার সকালেও বাজার করতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুর নগরের কাড়লার বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাস। বাজার থেকে বাড়িতে ফিরেই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। তিনি দেখেন, ঘরের বিছানায় সম্পূর্ণ “নগ্ন” অবস্থায় শুয়ে রয়েছে ছেলের এক বন্ধু। সঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রেমিকাও। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যান তিনি।
এমনকি, ওই অবস্থাতেই বাইরে থেকে দু’জনকে ঘরের মধ্যে আটকে দেন স্বপনবাবু। কিন্তু, তারপরেই যে ঘটনা ঘটে তাঁর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। অভিযোগ উঠেছে যে, এই ঘটনার পর তাঁর উপর চড়াও হয় ছেলে সুমন বিশ্বাস। একটা ইঁট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে ফেলে সে। এদিকে এই আক্রমনের ফলে মাথা ফেটে যায় স্বপনবাবুর।
এমতাবস্থায়, আহত স্বপন বিশ্বাসকে পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত চাঁদপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। তাঁর মাথায় মোট চারটি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বপনবাবু। এমনকি, ছেলের কঠোর শাস্তিও দাবি করেন তিনি। এরপরই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
এদিকে, ছেলে সুমনের প্রতি অভিযোগের সুরে তিনি জানান, প্রতিদিনই বাড়িতে বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে এনে আড্ডা দিত ছেলে। প্রতিবাদ করলেও কখনও শোনেনি। এমনকি, ছেলে কোনো কাজও করে না। শুধু নেশা করে এবং বাড়িতে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আড্ডা দিত বলেও জানান তিনি। এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন প্রতিবেশীরাও।