রাশিয়ার উপর নির্ভরতা শেষ! এবার ব্রহ্মোস মিসাইল পাবে “দ্রুত গতি”, বুস্টার তৈরি হবে ভারতেই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের সামরিক ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মোদী সরকার। পাশাপাশি, ঢেলে সাজানো হচ্ছে সমগ্ৰ ব্যবস্থাটিকে। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে এবার ক্ষেপণাস্ত্রের একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য ভারতকে আর রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হবে না। ইতিমধ্যেই নাগপুর-ভিত্তিক সোলার গ্রুপ কোম্পানি ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড (Economic Explosives Ltd, EEL) ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মোসে (BrahMos) ব্যবহৃত বুস্টারের দু’টি ইউনিট ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস (BrahMos Aerospace Private Limited, BAPL)-কে প্রদান করেছে।

এতদিন ভারতকে রাশিয়া থেকে এই বুস্টার কিনতে হত। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, BAPL হল একটি ইন্দো-মার্কিন যৌথ উদ্যোগ। হায়দ্রাবাদ এবং নাগপুরে এর ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ছোট সংস্করণ নিয়েও এই ইউনিটগুলিতে কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের আকার বর্তমান ব্রহ্মোসের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ছোট হবে। শুধু তাই নয়, সেগুলি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আক্রমণও করতে পারবে।

এমতাবস্থায়, EEL হল ভারতের প্রথম কোম্পানি যারা বুস্টার তৈরি করে। ইতিমধ্যেই এই কোম্পানি ২০ টি বুস্টার তৈরির অর্ডার পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে BAPL-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত রাণে জানান, কোম্পানির কাছ থেকে আরও কিছু আশা করা যায়। এটি ভবিষ্যতে আরও বুস্টার তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে। পাশাপাশি, তিনি জানান যে সংস্থাটির এক মাসে কমপক্ষে ৮ টি বুস্টার লাগবে।

রাণের মতে, বুস্টারটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য তিনটি প্রক্রিয়ার উপাদানের একটি অন্যতম অংশ। পূর্বে এটি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হত। এদিকে, ক্ষেপণাস্ত্রে একদম প্রথমেই সিকার, সাসটেইনার ইঞ্জিন এবং বুস্টার প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায়, এই বুস্টারগুলি ভারতেই পাওয়া যাবে। এই প্ৰসঙ্গে সোলার গ্রুপের চেয়ারম্যান সত্যনারায়ণ নুয়াল জানিয়েছেন, দ্রুত ওয়ারহেড তৈরির কাজও শুরু হবে। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে সোলার গ্রুপের সাথে প্রযুক্তি হস্তান্তর হয়েছিল। নুয়াল বলেন, এটি আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন।

BrahMos modi a

এদিকে, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, BAPL ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট তৈরি করে। পাশাপাশি, ফিলিপিন্স থেকেও BAPL অর্ডার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারতও ভবিষ্যতে ক্ষেপণাস্ত্র রপ্তানি করতে পারে। মূলত, ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিনকে একটি নির্দিষ্ট গতি দিতে বুস্টার ব্যবহার করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর