বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গেই জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন তিনিও। কিন্তু মন্ত্রিসভায় মমতার সঙ্গে শুরু থেকেই থাকা হচ্ছে না দমদম কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী ব্রাত্য বসুর। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকেই সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নাট্যকার ব্রাত্য বসু। এগারো সালের ভোটেই প্রথমবার জয় লাভ করে মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করেন তিনি।
লড়াইটা সেবারও কিন্তু সহজ ছিল না ব্রাত্যর জন্য। ডিলিমিটেশনের জন্য হাসনাবাদ কেন্দ্র অবলুপ্ত হওয়ায় দমদমে তার বিপক্ষে হেভিওয়েট গৌতম দেবকেই প্রার্থী করেছিল সিপিএম। কিন্তু প্রবল শাসক বিরোধী হাওয়ায় সেবার জয় তুলে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি ব্রাত্যর। পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ভোটের ফের একবার দমদম কেন্দ্র থেকে ব্রাত্য বসুকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও মমতার এই আত্মবিশ্বাসের দাম রেখেছিলেন এই প্রতিবাদী নাট্যকার।
তবে ভোটে জিতে মন্ত্রী হলেও মন্ত্রিসভায় তাতে তেমন দেখা যেত না বলেই অভিযোগ করেন অনেকে। অনেকটা সময় থিয়েটারকে সময় দিয়েই কাটিয়েছিলেন ব্রাত্য। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় এই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্বকে। একদিকে যেমন দলের মুখপাত্র হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, তেমনি অন্যদিকে নিজের এলাকাতেও ছিলেন সক্রিয় ভূমিকায়। সেই কারণেই আরও একবার তার ওপরে আস্থা রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও সেই ভরসার দাম রেখেছেন ব্রাত্য।
বর্তমানে তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হয়ে দমদম কেন্দ্র থেকেই বিধানসভায় আসন অলংকৃত করবেন তিনি। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ায়, অন্যান্য বিধায়কদের সাথে একই সঙ্গে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা হলো না তার। আপাতত কালিন্দীর বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। সোমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটবে। গত বুধবার একা শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাকিদের শপথ নেওয়ার কথা। কিন্তু করোনার কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনাই বেশি ব্রাত্য বসুর।
ষোল সালে ভোটের পর রাজভবনে যখন মন্ত্রীদের তালিকা পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জ্বল বিশ্বাসের নাম লিখতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য কথা দিয়েছিলেন পরে ওকে মন্ত্রী করে আনব। তবে মন্ত্রিসভায় ফিরতে উজ্জলের লেগেছিল প্রায় দু’বছর। ব্রাত্য বসুর ক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা হবার কথা নয়। এখন প্রথম ধাপে মন্ত্রিসভায় সামিল হতে না পারলে আগামী দিনে কবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।