বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২২-এ মাধ্যমিক পাশ করলেন ব্রাত্য বসু! স্থান অর্জন করে নিলেন মেধা তালিকাতেও। মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় তালিকায় ব্রাত্য বসুর নাম জ্বলজ্বল করতেই উপস্থিত সকলের মধ্যেই গুঞ্জন বাড়তে থাকে ওই নাম নিয়েই। শুরু হয়ে যায় ফিসফাস। তবে কী ভুল করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম মেধা তালিকায় ঢুকে পড়েছে?
তবে, ভুল ভাঙল অচিরেই। জানা যায়, এই ব্রাত্য বসু আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নন। এই ব্রাত্য বসু আসলে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ছাত্র। এবার ৬৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকারী করেছে ব্রাত্য। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নামেই তার নাম এবং পদবিও একই। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল সামান্য। তবে বিভ্রান্তি বলা ভুল, খানিক রসিকতা লুকিয়ে ছিল মাধ্যমিকের ফল ঘোষণায়। পর্ষদ সভাপতি মুচকি হেসে রসিকতা করেন।
মন্ত্রীর নামের সঙ্গে নিজের নামের মিল থাকায় অতীতেও বন্ধুরা মজা করেছে ব্রাত্যর সঙ্গে৷ ওই ছাত্রের কথায়, ‘বন্ধুরা মাঝেমধ্যেই বলত, আমাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী রয়েছেন!’ মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়ার এলাকায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে ব্রাত্য৷ মাধ্যমিকে অষ্টম স্থান দখল করা ব্রাত্য বলে, ‘ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম, কিন্তু মেধা তালিকায় জায়গা পাবো ভাবিনি৷ আমার বায়োলজি, ফিজিক্সের মতো বিজ্ঞানের বিষয়গুলিই বেশি ভাল লাগে৷’ তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মতো অধ্যাপনা বা নাট্য চর্চা নয়, ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় ব্রাত্য৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রাত্যর বাবা চণ্ডীদাস বসু প্রাক্তন সেনাকর্মী৷ তিনি জানালেন, ছেলে বরাবরই স্কুল জীবনে সব পরীক্ষায় এক থেকে তিনের মধ্যে থেকেছে৷ ছেলের নামের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর নামের মিল শুনে হেসে ফেলেন গর্বিত বাবাও৷