বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ গোটা দেশ জুড়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ জন সাংসদ এবং বিধায়ক মিলে মতদানের মাধ্যমে দেশের সর্বপ্রথম নাগরিককে বেছে নেওয়া হবে আর এই প্রসঙ্গকে নিয়েই সরগরম হয়ে পড়েছে দেশের রাজনীতি। সেই আঁচ বাংলাতেও (West Bengal) এসে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল (Trinamool Congress) এবং বিজেপির (BJP) মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের খেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এর মাঝে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বাংলার শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) দাবি, “বিজেপি ‘মহারাষ্ট্র’ (Maharashtra) মডেল পশ্চিমবঙ্গে আমদানি করছে।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলার বিধানসভায় সকাল ১০ টা থেকে ভোটদান শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হয়ে চলেছেন। এর মাঝে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে মন্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। অপরদিকে এর পাল্টাও দেয় বিজেপি আর এবার সেই বিতর্ক আরো বাড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুর দাবি, “বিজেপি বাংলায় ‘মহারাষ্ট্র’ মডেলের আমদানি করেছে। গতকাল থেকে এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ্যে গতকাল থেকেই কলকাতার একটি রিসোর্টে এসে পৌঁছেছে বিজেপির সকল বিধায়ক এবং সাংসদরা। এরপর সেখান থেকেই আজ বিধানসভায় এসে ভোটদান করেন সকলে। এই ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে ব্রাত্য বসু বলেন, “গতকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ‘মহারাষ্ট্র’ মডেল বা ‘বিজেপি’ মডেল দেখা দিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়। অন্তত নিজেদের বিধায়কদের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত।”
সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন একনাথ শিন্ডে সহ আরো বহু বিধায়ক। পরবর্তীকালে সকল বিধায়কদের অসমের এক রিসোর্টে এনে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকারে বসে তারা। ফলে মহারাষ্ট্রের ন্যায় বাংলাতেও রিসোর্ট রাজনীতি শুরু হয়েছে বলেই এদিন মত প্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু। যদিও তাঁর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসকেই আক্রমণ করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
তাঁর দাবি, “আমাদের অনেক বিধায়ক উত্তরবঙ্গ এবং দূরবর্তী একাধিক জেলা থেকে এসেছে। তাই তাদেরকে একটি জায়গায় একসঙ্গে রাখা হয়েছিলো। তাছাড়া অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা আমাদের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হয়েছে। ফলে ওদের কোন রকম ভরসা করা যায় না। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত।”