বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যপাল ও রাজভবন নিয়ে সংঘাত লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই সংঘাত অন্যমাত্রা নিল। রাজভবন সূত্র জানা যাচ্ছে, কল্যাণী, বর্ধমান, যাদবপুর সহ রাজ্যের ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C.V. Ananda Bose)। সেই নিয়োগ রাজ্যপাল, রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
বিশেষ সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। জানা যাচ্ছে, সেই বৈঠকে রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। বুধবারের বৈঠকের পরই বৃহস্পতিবার জানা গেলে রাজ্যপাল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন আনন্দ বোস।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যে রয়েছে একটি সার্চ কমিটি। সেই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, রয়েছেন রাজ্য সরকার প্রতিনিধিও। সেই কমিটির সুপারিশেই উপাচার্য নিয়োগ হয়ে থাকে। কিন্তু অভিযোগ, এই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বা উচ্চ শিক্ষা দফতরের কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
এই নিয়োগের খবর সামনে আসতেই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি টুইট করে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের থেকে জানতে পারলাম রাজ্যপাল সরকার পোষিত ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই নিযুক্তি, দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেক করা হল, যা বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও বেআইনি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে সে ব্যাপারে বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।’ পাশাপাশি তিনি নবনিযুক্ত উপাচার্যদের অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।
গত এপ্রিল মাসে আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন। তাতে বলা ছিল, প্রতি সপ্তাহের শেষে সাপ্তাহিক কাজের হিসাব রাজভবনকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্ট না আসায় সম্প্রতি উপাচার্যদের চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে জানিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু।