বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনেকেই আমরা মুখে বলে থাকি যে নারী-পুরুষ দুজনেই সমান অধিকারের ভাগীদার। আধুনিক সমাজের এটাই মূল মন্ত্র। নারী পুরুষ সমান ভাবে না এগোলে সমাজ এগোবেই বা কীকরে? কিন্তু বাস্তবে তা করে দেখানো সম্ভব হয় না।যেমন, বরযাত্রী বিয়ে করতে আসে কনের বাড়িতে। কনে এরকম করতে পারেনা। কিন্তু এই নিয়মকে উল্টে দিল ।”কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজে অনার্সের ছাত্রী খুশি খাদিজা আক্তার খুশি। কনেযাত্রী নিয়ে তিনি বিয়ে করতে গেলেন বরের বাড়ি।শুধু তাই না, সব রীতি মেনে ঘটা করে হল বিয়ে। যদিও, সবাইকে সন্তুষ্ট করা যেহেতু অসম্ভব সেহেতু এমন কাণ্ড সমাজের একাংশের রীতিমত চক্ষুশূল হয়। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে বিস্তর আলোচনা চলছে।তবে কে কি বলছে কী না বলছে তা নিয়ে খুশি অবশ্য ভাবতে রাজি নন। এর উত্তরে তিনি বলেন, ”আমার বিয়েটা হল নতুন স্টাইলে। একটা মেয়ে এবার একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষের সমানাধিকারের এটা একটা দারুন উদাহরণ। বর ও কনের বাবা-মা ছেলে-মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত সানন্দে মেনে নিয়েছিলেন।
তাঁর স্বামী একজন ব্যবসায়ী।নীয়ম উল্টো হলেও বিয়ে বাড়িতে আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। দুপুর নাগাদ কনেযাত্রী দের নিয়ে ধুম ধাম করে পাত্রী চলে এল বরের বাড়ি।হল বরণ, তার পর ধুমধাম করে হল বিয়ে। বরের বাড়িতেই হয় রেজিস্ট্রি। বরের বাড়িতে বিয়ের পর হয় দেদার পেট পুজো। বিকেলের পর আবার বরকে নিয়ে কনে নিজের বাড়ি চলে যান এবং কোণে র বাড়িতেই ।কয়েক ঘণ্টা কাটানোর পর বর আবার ফিরে আসে তাঁর বাড়িতে। খুশি বলছিলেন, “এতদিন কেউ ভাবতেই পারেনি মেয়ে বরের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে! হয়তো আমার এই বিয়ে দেখে অন্য মেয়েরা উদ্বুদ্ধ হবে। নতুন প্রথা চালু হবে। আমরা তো সমানাধিকারের কথা শুধু মুখেই বলি। বাস্তবে সমানাধিকারের ধারা চালু করাটাও প্রয়োজন।” নানান রকম আলোচনা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। অনেকে যেমন আশীর্বাদ দেয় তেমন অনেকে নানারক কথা ও কু মন্তব্য ও করে। কিন্তু যাদের বিয়ে তারা কিন্তু বেশ খুশি এই নিয়ম ভঙ্গে।