বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেমনটা তাদের নিয়ে আশা করেন ফুটবলপ্রেমীরা, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক তেমন ফুটবল খেলে দেখালো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং সার্বিয়া। জার্মানি এবং আর্জেন্টিনার অঘটনের হার, ইংল্যান্ড এবং স্পেনের দাপট দেখিয়ে জয়ের পর সকলেরই নজর ছিল ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে কেমন পারফরম্যান্স করে সেই দিকে।
প্রথমার্ধে ব্রাজিলের জড়তা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভালো আক্রমণ যে তারা তৈরি করেনি এমন নয়, কিন্তু সার্বিয়ার ডিফেন্স সেই আক্রমণের জবাব তৈরি রেখেছিল। সিঙ্গল স্ট্রাইকার হিসাবে থাকা রিচার্লিসনকে খেলায় খুব বেশি জুড়তে পারছিলেন না নেইমাররা। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-০ ফলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল রিচার্লিসনকে আরও বেশি করে খেলার আওতায় আনতে শুরু করে। নিমেষের মধ্যেই বাকিদের জন্যও জায়গা তৈরি হতে থাকে। বেশ কিছু ভালো গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলের বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড রাফিনহা। এরপর ৬২ মিনিট লাগাতে নেইমারের তৈরি করা একটি আক্রমণ থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ব্রাজিলের তরুণ তুর্কি ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কোনওক্রমে সেই শট বাঁচান সার্বিয়া গোলরক্ষক মিলিঙ্কোভিচ স্যাভিচ। কিন্তু লুজ বল পরে বক্সে দাঁড়ানো রিচার্লিসনের সামনে। বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করতে ভুল করেননি তিনি।
এরপর সার্বিয়া কিছুটা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করলে আরো সুযোগ বেশি তৈরি হতে থাকে ব্রাজিলের জন্য। ৭৩ মিনিট নাগাদ বাঁ দিকের উইং দিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে দৌড়ে এসে ডান পায়ের আউটসাইড দিয়ে বক্সে অসাধারণ ক্রস রাখেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বলটি রিসিভ করে অসামান্য দক্ষতায় সাইড ভলি মেরে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠে স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল ব্রাজিল সমর্থক।
এরপর বেশ কিছু পরিবর্তন করে রদ্রিগো, অ্যান্টনী, ফ্রেড, মার্টিনেল্লিদের মাঠে নামার সুযোগ করে দেন ব্রাজিল কোচ টিটে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ছাপ ছাড়তে সক্ষম হন পরিবর্ত হিসাবে আসা প্রত্যেকে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন ক্যাসেমিরো। তার ও লেফট ব্যাক অ্যালেক্স স্যান্দ্রোর শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। বেশ কিছু দুর্দান্ত শট সেভও করেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক। ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা ও মার্কুইনসকে খুব বেশি পরীক্ষার সামনে পড়তে না হলেও তারা নিজেদের কাজটা যথাযথ ভাবে করেছেন এমনটা বলাই যায়। এইমুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান ভক্তদের চিন্তা একটাই। গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে মাঠে ছেড়ে বেঞ্চে বসার পর নেইমার তুই কিছুক্ষণ কাঁদতে দেখা গিয়েছে। সমর্থকরা আশা করবেন তার চোখ যেন গুরুতর না হয়।