বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ফের একবার শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। তাদের ল্যাটিন আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা গত ১০০০ দিনে একটিও ম্যাচ হারেনি। এটা স্পষ্ট যে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল মহাশক্তি নেইমার এবং লিওনেল মেসির নির্ভরতা কাটিয়ে ২০ বছরের ইউরোপীয় আধিপত্যের অবসান ঘটানোর আশায় বছরশেষে কাতারে বিশ্বকাপে যাওয়ার বিমানে চাপবে।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় উভয় দলই ফ্লপ হয়েছিল। শেষ ষোলো পর্বে আর্জেন্টিনাকে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে হার মানতে হয়েছিল এবং ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে এলিমিনেট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুই দেশকে এখন আবার তাদের পুরনো দিনের মতোই শক্তিশালী মনে হচ্ছে। দুই দলেরই একটি গভীরতা সম্পন্ন স্কোয়াড, শানিত মস্তিষ্কের কোচ এবং একজন সুপারস্টার ফরোয়ার্ড রয়েছেন যারা নিজেরাই খেলার ফলাফল বদলে দিতে পারেন।
গত বছর স্থগিত কোপা আমেরিকা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ব্রাজিল ইতিমধ্যেই ৪৫ পয়েন্ট সহ দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের পয়েন্ট রেকর্ড ভেঙেছে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনার থেকে তারা ছয় পয়েন্ট এগিয়ে। যদিও, আর্জেন্টিনা গত কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ ফলে হারিয়ে ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে শিরোপা জিতেছিল, মেসিকে জাতীয় দলের সাথে তার প্রথম বড় ট্রফি তুলে দিয়েছিল।
বিশ্বকাপে মেসি এবং নেইমার সবসময়ই প্রচণ্ড চাপের সম্মুখীন হয়। কিন্তু বর্তমানে দুই দলই তাদের সুপারস্টারদের উপর কম নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করছে কাতারে এই বছরের টুর্নামেন্টে। নেইমারের কিছুটা চাপে কমতে পারে মাঝমাঠে লুকাস পাকুয়েতা এবং কুটিনহোর ফর্মে থাকার পাশাপাশি আক্রমণভাগে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মতো একজন প্রতিভাবান ফরোয়ার্ডের উত্থান হওয়ায়। আর্জেন্টিনা মেসির চাপ কমাতে এবং স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজের কাছে বলের সাপ্লাইয়ের জন্য রদ্রিগো ডি পলের মতো একজনকে পেয়ে গেছেন। ফলে বিশ্বকাপ নিয়ে দুই দেশের ফুটবল ভক্তরাই আশাবাদী।