বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পা দেওয়ার পর প্রথমবার হারের মুখ দেখলো ভারতীয় দল। ব্যাটিং বিপর্যয়ে সত্ত্বেও ম্যাচটি শেষ ওভার অবধি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা। তো তাদের হাতে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় রান ছিল না। ফলস্বরূপ ২০২২-এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিলিয়ে প্রথমবার হারের মুখ দেখলো রোহিত শর্মার দল।
প্রথম ম্যাচে যে অশনি সংকেত দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাই যেন সত্যি হয় দাঁড়ালো। প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং দীনেশ কার্তিকের দুর্দান্ত ব্যাটিং, বাকি ব্যাটারদের দুর্বলতা ঢেকে দিয়েছিল। রিশভ পন্থ এবং শ্রেয়স আইয়ার টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই ভাল পারফরম্যান্স করতে পারছেন না। সূর্যকুমার যাদব গোটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এখনও অবধি ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। প্রত্যেকেই আজকে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ফ্লপ। আজ ২ ঘন্টা দেরিতে শুরু হওয়া রিশভ পন্থ ক্যারিবিয়ান বোলারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ১২ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
এদিন ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেদ ম্যাকয়ের সামনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। নিজের প্রথম স্পেলে দুই ওপেনারকে আউট করেছিলেন ম্যাকয়। মিডল অর্ডারে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া (৩১) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (২৭)। এদের দুজনের মধ্যে ৪৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু তারা খুব দ্রুত গতিতে ব্যাটিং করতে পারেননি বরং বেশ ধীরগতিতেই ব্যাটিং করেছেন ফলে ভারতের খুব বেশি লাভ হয়নি। ওবেদ ম্যাকয়দের সামলে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮-এ অলআউট হয়ে যায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উল্টোদিকে একের পর এক সঙ্গীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অন্তর হারিয়ে ফেলতে হলেও নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলেছিলেন ব্রেন্ডন কিং। ৫২ বলে ৬৮ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলে আবেশ খানের ইয়র্কারে বোল্ড হন তিনি। তার আগে মেরেছিলেন ৮টি চার ও দুটি ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পরে একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিছুটা চাপে দেখাচ্ছিলো। কিন্তু ডেভন থমাস ১৯ বলে ৩১ রানের একটি আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে এবং নিজে শেষ অবধি থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে আসেন। তবে ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নেওয়ার জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন ওবেদ ম্যাকয়।