বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফায়ার লাইসেন্স (Fire License) রিনিউ করতে দিতে হয় ঘুষ! কখনও ৪০,০০০, কখনও ৬০,০০০, কখনও আবার অঙ্কটা ১ লাখ! উত্তরবঙ্গে দেখা দিয়েছে এমনই নানান অভিযোগ। বহু হোটেল মালিক, ব্যবসায়ী এই অভিযোগ এনেছেন। মঙ্গলবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) সঙ্গে বৈঠকের পর এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন হোটেল মালিকরা।
ফায়ার লাইসেন্স (Fire License) রিনিউ করতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ!
উত্তরবঙ্গের নানান জেলায় ফায়ার লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যা জানার জন্য বৈঠক ডাকেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী। মঙ্গলবার সেই বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে উত্তরের নানান জেলার ব্যবসায়ী এবং হোটেল মালিকদের গলায় শোনা যায় অভিযোগের সুর। উত্তরকণ্যায় শাখা সচিবালয়ে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির হোটেল মালিক এবং ব্যবসায়ী সংগঠনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সুজিত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দমকল কর্তারাও।
রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর হোটেল মালিক সংগঠনগুলি জানায়, সমস্যার সমাধান করতে এলেও নানান জেলার সমস্যা সেভাবে শুনতে চাননি বিভাগীয় মন্ত্রী। বহু জেলার প্রতিনিধিরা নিজেদের বক্তব্যও রাখতে পারেননি। সময়ের অভাবের কারণেই নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারেননি বলে জানানো হয়। এরপর ফায়ার লাইসেন্স (Fire License) রিনিউ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ খোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ অভিষেককে পুলিশমন্ত্রী করার দাবি! ‘মমতার থেকে বলিষ্ঠ কেউ নন’! ফিরহাদের কথায় তোলপাড়
ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়, বর্তমানে পুরনো ভবনে যে সকল ব্যবসা চলছে, সেই সব জায়গায় ফায়ার লাইসেন্স রিনিউয়ালের ক্ষেত্রে সকল বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। রিনিউ করতে গিয়ে বহুক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঘুষ নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠছে।
ব্যবসায়ীদের কথায়, পুরনো ভবনে ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্স রিনিউ করায় একটি নির্দিষ্ট দর রয়েছে। তবে বহুক্ষেত্রে দমকল কর্তারাই সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া ফি-র বাইরে গিয়ে সেটলমেন্ট করতে বাধ্য করছেন। ঘুষ দিলেই রিনিউ হচ্ছে লাইসেন্স। নাহলে ব্যবসায়ী, হোটেল মালিকদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ব্যবসায়ীরা জানান, ফায়ার লাইসেন্স (Fire License) নিয়ে এই ‘ঘুষের খেলা’ নিয়ে দফতরে চিঠি পাঠিয়েও কাজ হয়নি। এদিন দমকলমন্ত্রীর কাছে লিখিত আকারে নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। সুজিত এই বিষয়ে বলেন, ‘জেলায় জেলায় বৈঠক করছি। উত্তরবঙ্গে বৈঠক করলাম। আমার কাছে এই অভিযোগ আসেনি। কেউ আমায় কিছু বলেননি। ওরা আইনের সরলীকরণ করতে বলেছেন। সেই সকল দাবি খতিয়ে দেখা হবে’।