কনকনে ঠান্ডায় বসেছে বিয়ের আসর, শীতের চোটে বর অজ্ঞান! এরপরই কনে নেন বিরাট সিদ্ধান্ত!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছে বিয়ের (Wedding) মরশুম। এই মরশুমেই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন কপোত-কপোতীরা। চারিদিকে বিয়ের গান, সানাই, মন্ত্রপাঠের আওয়াজ ভেসে আসছে। কিন্তু এবার এক বিয়ের বাড়িতে জমজমাট আসর বসার বদলে নেমে আসলো কালো মেঘের ছায়া। “যদিদং হৃদয়ং মম”-র বদলে শোনা যাচ্ছে বিয়ে ভাঙার সুর। ব্যান্ডপার্টি আসার বদলে উপস্থিত হয়েছে সেখানে পুলিশের দল। তবে এবার বর নয়, এই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ নতুন কনে। দাবি তাকে ঠকিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ কি এমন ঘটেছে যার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কনে? কিভাবে তাকে ঠকানো হচ্ছে?

বিয়ে (Wedding) ভাঙার সিদ্ধান্ত কনের:

ঘটনাটি ঘটেছে দেওঘরে। গত ১৫ই ডিসেম্বর দেওঘরের ঘোড়ামারার বাসিন্দা অর্ণবের সঙ্গে বিয়ে (Wedding) হওয়ার কথা ছিল বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতার। তবে অন্যান্য আর চার-পাঁচটা বিয়ের মত এই বিয়ে ছিল না। হিন্দু নিয়ম অনুসারে বর বউকে বিয়ে করতে যায়। কিন্তু অঙ্কিতার ক্ষেত্রে ঘটে বদল। তিনি বরকে বিয়ে করতে যান। জানা যায় রবিবার বরের পৈত্রিক বাড়িতেই বসে বিয়ের জমজমাট আসর। চারিদিক ঝলমল রঙিন আলোর সাজে সেজে ওঠে। বরও বিয়ের পিঁড়িতে এসে হাজির। কিন্তু এরপরই ঘটে যায় অঘটন।

Bride breaks off wedding as groom will faint

বিয়ের মণ্ডপে অজ্ঞান হয়ে যায় বর: যদিও বিয়ের (Wedding) আয়োজন করা হয়েছিল খোলার আকাশের নিচে। আর যেহেতু শীতকাল চলছে, ফলে কনকনে শীতে বিয়েতে বসতেই বর কাঁপতে শুরু করে। তার মধ্যেও শুরু হয় বিয়ের উপাচার। সেখানে এসে উপস্থিত হয় কনে। মন্ত্র পাঠ উচ্চারণ করে মালাবদল হয়। কিন্তু এই কনকনে ঠান্ডায় বরের জুবুথবু অবস্থা। আর শীত সইতে না পেরে হঠাৎ করেই সংজ্ঞা হারান। এমন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বউও খানিক ভিড়মি খেয়ে যান। এরপরই তাকে তড়িঘড়ি ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং ডেকে পাঠানো হয় চিকিৎসকে। হাত, পা, তালু ঘষেও পাত্রের জ্ঞান ফেরেনা। প্রায় এক ঘন্টা পর বরের সংজ্ঞা ফেরে বলে জানা যায়। কিন্তু এহেন ঘটনার পর পাত্রী বিয়ে করতে নারাজ।

আরও পড়ুনঃ হাইস্কুলের মতোই পুজোয় লম্বা ছুটি প্রাইমারিতে! বছর শেষের আগেই বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 

বরের গুরুতর অসুখ রয়েছে: সূত্র মারফত জানা যায়, ঐদিন বিয়ের (Wedding) আসরে কনে দাবি করেন ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে গুরুতর কোন অসুখের কারণ রয়েছে। অঙ্কিতা বলেন পাত্র হয়তো স্নায়ু রোগে আক্রান্ত। আর পাত্রের পরিবার ছেলের রোগ চাপা দিয়েই তার সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ তুলে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর এতেই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাঁধে।

আরও পড়ুনঃ বিরাট পরিবর্তন! বছর শেষের আগেই বড় ঘোষণা মমতার, নয়া তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ: দুই পরিবারের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হওয়ায় কনের তরফেই পুলিশ ডাকা হয় সেদিন রাতে। যদিও বিরাট কোন সুরাহা হয়নি। পুলিশের তরফ থেকে জানা যায়, ভাগলপুর থেকে কনেকে নিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন তার পরিবারের লোকেরা। কিন্তু প্রথম থেকেই এমন নিয়মের বিরোধিতা করে এসেছেন পাত্রীর পরিবার। তবে বর পক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়েই কিছুটা জোর করেই এমন ভাবে বিয়ের আয়োজন করে। যদিও পরের দিন দুই পরিবার বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করে, আর দুপক্ষের সম্মতিতে বিয়ে (Wedding) বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর