বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) যে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে তা প্রায় সকলেই জানেন। সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। তবে, এবার পাকিস্তানের মতই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে আরও একটি দেশ। মূলত, একটা সময়ে ব্রিটিশরা প্রায় আড়াইশো বছর ধরে আমাদের দেশে শাসন ও শোষণ চালিয়েছে। সেই অবস্থা থেকে ভারত ঘুরে দাঁড়ালেও এবার ব্রিটেনের (Britain) অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেও ভালো জায়গায় নেই।
পাকিস্তান কেন সঙ্কটের সম্মুখীন: উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের সমস্যা হল তারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমোলেও মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থন ছাড়বে না। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসা শাসকগণ জনগণের মধ্যে এই অনুভূতিটি প্রচার করেন যে ভারত তাদের শত্রু। অথচ ভারত কখনও এইভাবে চিন্তা করেনি এবং এই দিক থেকে কোনো নেতিবাচক প্রচেষ্টাও করা হয়নি। বরং, ভারত সবসময় পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল।
এমনকি, স্বাধীনতার পর ৭৬ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তান তার উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারেনি। উল্টে এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যের আমদানির উপর তারা নির্ভরশীল। এমতাবস্থায়, আমদানির ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় হয় এবং সেকারণেই ঋণ নিতে হয় তাদের।
এদিকে, ঋণ নেওয়া শুরু করতেই তার পরিমান ক্রমশ বাড়তে থাকে পাকিস্তানে। কারণ সেই ঋণ বা তার সুদ পরিশোধের কোনো ব্যবস্থাই করেনি সেই দেশ। এই সংক্রান্ত কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। যার ফলে ক্রমশ বেড়েছে ঋণ। এমতাবস্থায়, আজ পাকিস্তানের অবস্থা এমন যে, তারা ঋণে রীতিমতো জর্জরিত হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বের অনেক দেশই পাকিস্তানকে আর ঋণ দিতে চাইছেও না।
মূলত পাকিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী শাসক এবং সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন আধিকারিকদের অনেকেই তাঁদের পুরো মেয়াদে করা তুমুল দুর্নীতির কারণেই দেশের এই অবস্থা। এমনকি, সন্ত্রাসবাদে মদত দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও ওই টাকার কোনো হিসেব পাওয়া যায়নি। যার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে সবাইকে। শুধু তাই নয়, মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ব্রিটেনেও চলছে সঙ্কট: এবার আসা যাক ব্রিটেনের প্রসঙ্গে। একটা সময়ে এই দেশের দুর্দান্ত প্রতাপ থাকলেও আজ পরিস্থিতি এমন যে, সেখানে বড় ও ছোট সুপার মার্কেটে রেশনিং করতে হচ্ছে। যেখান থেকে কেউ দুইটির বেশি আলু, টমেটো বা অন্য কোনো সবজি কিনতে পারবেন না। এই ঘটনা ঘটেছে কারণ, ব্রিটেনের কৃষকরা টমেটো এবং আলুর ফলনের দিকে সঠিক মনোযোগ দেননি এবং যে দেশগুলি থেকে এগুলি আমদানি করা হত তারাও উৎপাদনের প্রভাবে সঙ্কটের মুখোমুখি হওয়ায় আর রফতানি করতে চাইছে না। এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের কৃষকরা জানিয়েছেন যে, সুপার মার্কেটগুলিকে এবার খালি অবস্থায় দেখার অভ্যাস করা উচিত। কারণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ফল ও সবজি চাষের প্রতি কৃষকদের ঝোঁক অনেকটাই কমে গেছে।