বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এদিন এমন ঘটনা ঘটল, যাতে ব্রিটেন সরকারের মুখ পুনরায় একবার পুড়লো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির এক সাংসদের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বলে খবর। পুলিশের তরফ থেকে সেই সাংসদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কনজারভেটিভ পার্টির এই সাংসদের বয়স আনুমানিক 50 বছর। তবে তার পরিচয় এখনও জনসমক্ষে নিয়ে আসা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সাংসদ বর্তমানে তাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সাংসদের বিরুদ্ধে সরকারি অফিসের মধ্যে অনভিপ্রেত আচরণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আর সেই কারণেই তাকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটেন পুলিশ। অভিযোগ, 2002 থেকে 2009 পর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই নেতা।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পার্টির তরফ থেকে তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে এবং সম্প্রতি তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “পুলিশ বর্তমানে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া শেষ হয়, আমরা কোন রকম মন্তব্য করব না।”
তবে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষেত্রে এহেন ঘটনা নতুন নয়! সম্প্রতি সেখানকার হাউস অব কমন্সে অপর এক ঘৃণ্যতম ঘটনার কথা শিরোনামে আসে। অভিযোগ, সংসদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন চলাকালীন সেখানে বসে প্রকাশ্যে পর্ন দেখছিলেন পেরিশ নামের এক সাংসদ। সেই মুহূর্তে ঘটনাটি দেখে নেয় তার পাশে বসে থাকা এক মহিলা এবং পরবর্তীতে তা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় বিতর্ক। এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে অপর এক সাংসদ ইমরান আহমেদ খানের বিরুদ্ধে এক নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে জনগণ এবং বিরোধী দলের ক্ষোভের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে হয় তাকে। আর এবার 50 বছর বয়সী ব্রিটিশ সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং তার গ্রেফতারি বরিস জনসনের চিন্তা আরো বৃদ্ধি করলো বলেই মত সকলের।