বাংলা হান্ট ডেস্ক: যে দেশটি একটা সময়ে দীর্ঘকাল যাবৎ ভারতকে (India) শাসন করেছে সেই দেশের অর্থনীতি এবার চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, আমরা ব্রিটেনের (Britain) কথাই বলছি। এদিকে, ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর, একদিকে যখন ভারত মাত্র সাত দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির প্রকাশ ঘটাচ্ছে, অপরদিকে, ব্রিটিশ অর্থনীতিতে ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন পরিলক্ষিত হয়েছে।
অর্থনীতিতে করোনার খারাপ প্রভাব: এই প্রসঙ্গে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২০ সালে যখন সমগ্ৰ বিশ্বে করোনার ভয়াবহ প্রভাব দেখা গিয়েছিল ঠিক তখনই ব্রিটেন উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে যায়। পাশাপাশি, গত সোমবার সামনে আসা সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে যে, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে স্থান পাওয়া ব্রিটেনের অর্থনীতিতে মহামারীর একটি বড় প্রভাব পড়েছে। যার কারণে দেশটির জিডিপি অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির তুলনায় অনেক পিছিয়ে যায়।
জিডিপিতে ১১ শতাংশ হ্রাস: এই প্রসঙ্গে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, ২০২০ সালে ব্রিটেনের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১১ শতাংশেরও বেশি পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান ওএনএসের দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়েও অনেক বেশি বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭০৯ সালের পর এটি ছিল দেশের জিডিপিতে সবচেয়ে বড় পতন।
গ্রেট ফ্রস্টের পর সবচেয়ে বড় পতন: ওএনএস এর আগে অর্থনীতিতে পতনের স্কেল ৯.৩ শতাংশে সংশোধন করেছিল। যা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় পতন। তবে, বর্তমানে জিডিপির পতন এই অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হারে দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭০৯ সালের “গ্রেট ফ্রস্ট”-এর পর থেকে ২০২০ সালে উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে বড় পতন সামনে এসেছে। এমনকি, এই নতুন পরিসংখ্যান স্পেনকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে ওই সময়ের মধ্যে উৎপাদন ১০.৮ শতাংশ কমেছে।
নতুন পরিসংখ্যান ৩০ সেপ্টেম্বর সামনে আসবে: আগের তুলনায় মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং খুচরো বিক্রেতাদের কম অবদানের প্রসঙ্গটি উপস্থাপিত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওএনএস অর্থনীতিবিদ ক্রেগ ম্যাকলারেন বলেন, “স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি খরচের সম্মুখীন হয়েছিল। মানে অর্থনীতিতে এর সামগ্রিক অবদান কম ছিল।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওএনএস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ এবং ২০২২-এর প্রথমার্ধের সামগ্রিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে।