কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কাঁথি থানায় হাজিরা শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর, শ্মশান দুর্নীতিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার শ্মশান-দুর্নীতি মামলায় তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাইকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল কাঁথি থানার পুলিস। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালেই সৌমেন্দুকে কাঁথি থানায় তলব করা হয়। তিনি থানায় পৌঁছলে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এখনও জেরা চলছে বলেই জানা যাচ্ছে।

পুরসভার কাছে শ্মশানের জমিতে দোকান তৈরি নিয়ে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে শাসক দল। তাছাড়া রয়েছে পুরসভার ত্রিপল দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ। এই বিষয়েও থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন্দু অধিকারী। গত ১১ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয়। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতার করা যাবে না সৌমেন্দুকে। এর মধ্যেও বেশ কয়েক বার কাঁথি থানায় তলব করা হয় বিজেপি নেতাকে। তারপর আবারও তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ সৌমেন্দুকে রক্ষাকবচ দেয় তাঁকে। আদালত জানায়, সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে ওই মামলার তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। এর পরই শুক্রবার সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠায় কাঁথি থানা। সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থানায় যান সৌমেন্দু অধিকারী।

কাঁথির শ্মশানের জমিতে স্টল নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ ওঠে কাঁথির তৎকালীন পুরপ্রধান সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। বর্তমান পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্না কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ ওই কাণ্ডে সৌমেন্দুর তৎকালীন সহকারী দিলীপকুমার বেরা এবং ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী এবং গাড়িচালক গোপাল সিংহের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁদের তিন জনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। বেলার দিকে জেলা পুলিস সূত্রে জানা যায়, কাঁথি পুরসভায় রাস্তায় আলো লাগানোর ক্ষেত্রে যে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সমাধান করতেই সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর