বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বরাবরই গরু পাচার নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত। এর আগে বহুবার গরু পাচার করতে গিয়ে সীমান্ত রক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে পাচারকারীরা। নানারকম কৌশলে, নানারকম উপায় বার করে এদেশ থেকে ওদেশে গরু পাচার চলে আসছে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। আর এই অবৈধ পাচার রুখতে সবসময় তৎপর থাকে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
এবারও এমন কিছু কাণ্ড ঘটলো বনগাঁ-র ভারত – বাংলা সীমান্তে। তবে এবার গরু পাচারকারীদের হাতে আক্রন্ত এক বিএসএফ জওয়ান। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে গরু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল অবৈধ পাচারকারীরা। বিএসএফ-এর জওয়ানেরা তাঁদের বাধা দিতে গেলেই, তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা।
বাংলাদেশি পাচারকারীদের ছোরা বোমার আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন, বিএসএফের ৬৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আনিসুর রহমান নামের এক জওয়ান। আহত অবস্থায় প্রথমে ওনাকে বনগাঁ-র একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে, ওনাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। উনি এখন চিকিৎসাধীন এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
পুলিশ সুত্র অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আংরাইল সীমান্তে। বিএসএফ এর সুত্র থেকে জানা যায় যে, এদিন সকালে বাংলাদেশের গোটা ২৫ জন গরু পাচারকারী আংরাইল সীমান্তে কিছুটা এলাকায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে ১০ থেকে ১৫ টি গরু পাচারের চেষ্টা চালায়।
বিএসএফ এর নজরে ঘটনাটি আসতেই, পাচার রুখতে তৎপর হয় সীমান্ত রক্ষীরা। তাঁদের প্রথমে সাবধান করলেও, তাঁরা পাচার না রুখে উলটে বিএসএফ দের সাথে বচসা শুরু করে দেয়। এরপর আচমকাই তাঁরা বিএসএফ এর জওয়ানদের উপর দেশি বোমা ছোরা শুরু করে। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের ছোরা বোমায় আহত হন জওয়ান আনিসুর রহমান। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। দুষ্কৃতীদের হাতে দেশি বোমা ছাড়াও লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানা যায়।
এই ঘটনার পর চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বিএসএফ এর অন্দরে। উপর থেকে ওই এলালায় আরও বেশি করে জওয়ান মোতায়েন এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি গরু পাচারকারীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলে দেওয়া হয়েছে।