বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি বিএসএফের দেওয়া একটি প্রতিবেদনে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ২০১৯ সাল থেকে এখনও অবধি প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতে প্রবেশে বাধা দিয়ে ভারত বাংলাদেশ বর্ডার এলাকা থেকেই বিতাড়িত করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ভাবে দেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওই সময়ের মধ্যেই ধরা পড়েছেন ৯২৩৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২০১৯ সাল থেকে এই সময়কালের মধ্যে আমরা এই সমস্যাটিকে সামলানোর উপায়ে খানিক পরিবর্তন এনেছি। এই বেআইনি অনুপ্রবেশ রোখার জন্য ওই মানুষদের জেলে পোরাটা কোনও সমাধান হতে পারে না এই কথা বিশ্বাস করে যাঁদের এই অনুপ্রবেশের পিছনে কোনও রকম অপরাধী মানসিকতা বা পরিকল্পনা ছিল না তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্যই আমরা বিএসএফকে নির্দেশ দিয়েছি। সেখান থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।’
সূত্র মারফত খবর, এই বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই এদেশে ভালো জীবিকা এবং উন্নত জীবন যাত্রার খোঁজেই আসেন। বাংলাদেশে কোনও মতে জীবন ধারণ করে যখন আর কোনও উপায় দেখতে পান না, তখনই পেটের দায়ে ভারতে আসতে চান অধিকাংশ মানুষ। শুধু তাইই নয়, ২০১৯ সালে সিএএ সংসদে অনুমোদন পাওয়ার পর আরও বেড়েছে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা। যদিও ২০২০ সালে মাত্র ১২১৪ জনই এদেশে আসার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন ৩৪৬৩ জন।
সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর দেওয়া এহেন তথ্যে কার্যতই চোখ কপালে দেশবাসীর। একদিকে এদেশে ক্রমাগত চলতে থাকা এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলন অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ বেআইনি অনুপ্রবেশ, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে বেশ ভালোরকমই জটিল,তেমনটাই অবশ্য মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।