বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে ভারতের টেলিকম বাজারে সর্ববৃহৎ টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)। রিলায়েন্স জিওর পরে রয়েছে ভারতী এয়ারটেল (Bharati Airtel)। অতি আধুনিক পরিষেবা দেওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রিচার্জ প্ল্যান এই দুই কোম্পানির প্রধান স্ট্র্যাটেজি। এর ফলে অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলিকে মাঠের বাইরে আউট করে দিয়ে সিংহভাগ গ্রাহক নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পেরেছে জিও ও এয়ারটেল।
এই দুই কোম্পানি ছাড়াও ভারতের টেলিকম বাজারে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছে ভি ও সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল। গ্রাহক সংখ্যার নিরিখে এই দুই টেলিকম সংস্থা অনেকটাই পিছিয়ে। এদের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা বিএসএনএলের। যেখানে অন্যান্য কোম্পানি 5G নিয়ে এসেছে সেখানে বিএসএনএল এখনো 4G চালু করে উঠতে পারেনি।
তবে বিএসএনএল (BSNL) অন্যান্য কোম্পানিগুলিকে খরচের দিক থেকে টেক্কা দেয়। এই কারণে এখনও বহু গ্রাহক বিএসএনএল ব্যবহার করেন। ১০৭ টাকার প্ল্যানে বিএসএনএল-এ অনেক কিছুই পাওয়া যায়। এই টাকা দিয়ে রিচার্জ করলে গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন কলিং এর সুবিধা থেকে ইন্টারনেট সার্ফিং এর সুবিধা। তবে এই প্যাকে আনলিমিটেড দেওয়া হয় না কোন পরিষেবা।
বলা বাহুল্য, ১০৭ টাকা দিয়ে রিচার্জ করলে বিএসএনএল গ্রাহকরা ভারতের যেকোন প্রান্তে ২০০ মিনিট ফোন করার সুবিধা পাবেন। এর সাথে রয়েছে ৩ জিবি ডেটা। এই প্ল্যানে পাওয়া যাবে না এসএমএস এর সুবিধা। এই রিচার্জ প্লান এর বৈধতা থাকে ৩৫ দিন। এর আগে এই রিচার্জ প্ল্যানে বিএসএনএল গ্রাহকরা আরো বেশি দিনের ভ্যালিডিটি পেতেন। কিন্তু পরে ভ্যালিডিটি কমিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভ্যালিডিটি কমালেও এই প্ল্যানে কলিং ও ইন্টারনেট সার্ফিং সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।