বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃণমূল সরকার গঠন নন্দীগ্রাম (Nandigram) আন্দোলনকেই ভরকরে গড়ে উঠেছিল। এবারের নির্বাচনে সেই নন্দীগ্রামই হয়ে উঠেছে হটস্পট। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়ে লাগাতার জনসভা করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই রীতিমত একেরপর বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছেন তিনি।
রবিবার জনসমক্ষে তৃণমূল সুপ্রিমোর করা একটি মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি হয়ে উঠেছে সরগরম। শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেছিলেন, বাপ-ব্যাটা পারমিশন না দিলে সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না। চোদ্দ বছরের আগের ঘটনায় তাঁর এই মন্তব্যে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায়।
তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলের তরফে নেট জগতে একটি প্রশ্ন উঠতে থাকে, “কেন এতদিন বলেননি মমতা ? তাহলে কি এতদিন মানুষকে কেবল বিভ্রান্ত করা হয়েছে?’ মমতার এই বিস্ফোরক দাবির ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে পাম এভিনিউর বাড়িতে শুয়ে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর নিয়ে অবশেষে ভোটের মুখেই মুখ খুললেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। নীরবতা ভেঙে আজ তিনি বিবৃতিতে লিখলেন, ‘নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর এখন শ্বশানের নীরবতা। কোনও উল্লেখযোগ্য শিল্প আসেনি সেখানে। সেসময়ের কুটিল চক্রান্তকারীরা আজ বিভক্ত। এখন তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি করছে’।
১ এপ্রিল নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে (Nandigram & Singur) ভোট। তার আগে শেষ লগ্নে নির্বাচনী প্রচার হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। এদিকে সোমবার বিকেলেই নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। অন্যদিকে মমতার রবিবারেই মন্তব্যের পরই বুদ্ধবাবুর এহেন বিবৃতি আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলছে নন্দীগ্রামের নির্বাচনকে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।