বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার পেশ হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। সেই সময়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে করিডর প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে। সেগুলি হল – শক্তি, খনিজ ও সিমেন্ট করিডর; বন্দর সংযোগ করিডর এবং হাই-ট্র্যাফিক ডেনসিটি করিডর। প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তির আওতায় সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে।’
খরচ কমার পাশাপাশি ওই তিনটি করিডরের ফলে পণ্য পরিবহণ সহজ হবে বলেও দাবি করেন তিনি।একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, ‘হাই-ট্র্যাফিক ডেনসিটি করিডর’-র ফলে বৃদ্ধি পাবে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিও। নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘হাই-ট্র্যাফিক ডেনসিটি করিডর’-র ফলে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর কাজটা আরও মসৃণ হবে।
আরোও পড়ুন : জায়গা দেখে দেবে সরকার, দরকারে বাড়িও করে দেব… ভোটের আগেই বড়সড় ঘোষণা মমতার
শুধু তাই নয়, তিনি আরোও বলেন যে, এক ধাক্কায় কমে যাবে বিভিন্ন লাইনে প্রচুর ট্রেনের চাপ। ফলে যাত্রীদের সুরক্ষা বাড়ার সাথে সাথে আরো দ্রুত গতিতে ছুটবে ট্রেনগুলো। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই তিনটি অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের ফলে আমাদের জিডিপি বাড়বে। পণ্য পরিবহণের খরচ কমবে।’
আরোও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার নাবালিকার গলাকাটা দেহ! তুমুল চাঞ্চল্য মালদায়
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচে যেমন সুযোগ-সুবিধা ও পরিকাঠামো আছে, সেটা ৪০,০০০টি সাধারণ কোচেও মিলবে অর্থাৎ ৪০,০০০টি সাধারণ বগিকে বন্দে ভারতের মতো করে তোলার প্ল্যান হচ্ছে। যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই নয়া পরিকল্পনা। অন্যদিকে মেট্রো এবং নমো ভারত ট্রেন নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়ছে। দ্রুতগতিতে নগরায়ন হচ্ছে। শহরে যে উন্নয়নের প্রয়োজন আছে, সেটার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মেট্রো রেল এবং নমো ভারত ট্রেন। বড়-বড় শহরে এই ধরনের পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকর হবে। যা ট্রানজিট নির্ভর উন্নয়নের উপর জোর দেবে।’