বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকালই পেশ হয়েছ বাজেট ২০২৩ (Union Budget 2023)। আয়করে বিপুল ছাড় দেওয়া ছাড়া আর কোনও কিছুই সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেনি এবারের বাজেট। কিন্তু বিজেপির দাবি মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের উন্নয়নের জন্যই এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বাজেট কীভাবে দেশকে আরও উন্নত করবে তা বোঝাতে এবার দেশজুড়ে প্রচার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচার শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে।
বিশেষ সূত্রে খবর, এই প্রচার সংগঠিত করতে ৯ জনের কমিটি গঠন করেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে। ১২ দিন ধরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মানুষের দরজায় গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা, সাংসদ ও বিধায়কদের এই প্রচার অভিযানে অংশ নিতে হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত রবিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এটাই মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2023)। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে মন্ত্রীদের জানান, ১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক জনমুখী প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রী সরকার। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলি এখনও মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। তাই ঘরে ঘরে পৌঁছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এসব প্রকল্পের কথা পৌঁছে দিতে হবে মন্ত্রীদেরই। সশরীরে গিয়ে বোঝাতে হবে, তবেই নিম্নবিত্তরা বুঝতে পারবেন।
নমোর পরিকল্পনা বুঝতে অসুবিধা হয়নি গেরুয়া শিবিরের। তাই প্রচারের রুটম্যাপ তৈরি করেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। রাজ্যভিত্তিক প্রচার কর্মসূচি তৈরি করতে সুশীল মোদির সঙ্গে কাজ করবেন আরও আটজন। দেশের সব রাজ্যের রাজধানী-সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি বাজেট সংক্রান্ত আলোচনার আয়োজন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেই আলোচনায় কেন্দ্রে হেভিওয়েট মন্ত্রী, শীর্ষনেতৃত্ব ও অথবা অর্থনীতিবিদরা হাজির থাকবেন বলে খবর।