রাহুলের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পরই কংগ্রেস কর্যালয়ে হাজির বুলডোজার! কিন্তু কেন?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : খুব খারাপ সময় যাচ্ছে কংগ্রেসের। দলের প্রধান মুখই ২ বছরের জন্য সাজা পেয়েছেন সুরাট আদালতে (Surat Court)। জামিন পেলেও বাতিল হয়ে গেছে তাঁর সাংসদ পদ। এরপর হঠাৎই কংগ্রেসের (Congress) অফিসের সামনে হাজির হল বুলডোজার। শুধু হাজির নয়, ভেঙে দেওয়া হল অফিসের সিঁড়িও। কিন্তু কেন?

যে আধিকারিকরা এদিন এসেছিলেন বুলডোজার নিয়ে তাঁরা জানান, দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ একটি সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় খতিয়ে দেখা হয়, কোন কোন বাড়ির অংশ অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে? দেখা যায় দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গের উপরে নির্মীয়মাণ কংগ্রেসের অফিসের সিঁড়িগুলি তৈরি হয়েছে ফুটপাতের উপর। সেগুলোই এদিন ভেঙে দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, এটি বানানো হয়, দিল্লি পুরসভার অনুমতি না নিয়েই। পিডাব্লুডি জানাচ্ছে, চলতি বছরেই জি২০ সম্মেলনের আসর বসবে দিল্লিতে। আর তাই রাজধানী শহরকে ঢেলে সাজাতে চাইছে দিল্লি পৌরসভা। প্রথমেই রাস্তাকে পরিষ্কার করার জন্য বুলডোজার চালাচ্ছে দিল্লি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে শুধু কংগ্রেস নয়, রয়েছে আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির কার্যালয়ও। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই আপ কর্যালয়ের একটি অস্থায়ী ঘর ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার চালিয়ে। তবে বিজেপি কার্যালয়ে এখনও পর্যন্ত বুলডোজার চালানোর দরকার পরেনি বলেই জানা যাচ্ছে।

congress 2

এদিকে জানা যাচ্ছে, মানহানির বেশিরভাগ আইনি মামলার নিষ্পত্তি হয় ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে এবং এই ক্ষেত্রেও যদি রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাইতেন, তাহলে হয়তো আদালতেই মীমাংসা হয়ে যেত এবং তারপর আদালত রাহুল গান্ধীকেও দোষী সাব্যস্ত করত না। বা এর কারণে তার সংসদ সদস্যপদও বাতিল হত না।

রাহুল গান্ধী সুরাটের আদালতে তিনবার হাজির হয়েছিলেন এবং এমনকি তিনটির মধ্যে একবারও তিনি আদালতে বলেননি যে তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। তবে এর আগে মানহানির মামলায় তিনি কখনও ক্ষমা চাননি এমনটা মোটেই নয়। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে তিনবার ক্ষমা চেয়েছিলেন। এবং শেষ ক্ষমা প্রার্থনায় রাহুল চতুর্থ পয়েন্টে লিখেছিলেন যে, তিনি ভুল বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর