বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরাধীন দেশকে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে রক্ষ করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে অন্যতম হলেন দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত (jatindra mohan sengupta)। যে স্বদেশীর গলার আওয়াজে একসময় কেঁপে উঠত ব্রিটিশের মসনদ, বাংলাদেশ সরকার তাঁরই স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল। এই নিন্দনীয় ঘটনায় মাথা হেট হয়ে গেল সমগ্র বাংলা ও বাঙালির।
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। কলকাতায় নামকরা দেশপ্রিয় পার্ক তৈরি করা হয়েছিল তাঁরই নামে। ৫ বার কলকাতার মেয়র হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দেশকে স্বাধীন করতে নির্দ্বিধায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের সমস্ত অর্থ। আর তাঁরই নগরীর রহমতগঞ্জের বাড়িটি ভেঙ্গে দখল নিল বাংলাদেশ সরকার।
যে মানুষটা ব্যারিস্টারি করেও দেশের মানুষের সেবায় নিজের সমস্ত উপার্জন বিলিয়ে দিয়েছেন, অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন সহস্র বিপ্লবীদের, নিজের বিলাসে ব্যয় করেননি একটি অর্থও, আজ তাঁকে যথাযথ সম্মান দিল না বাংলাদেশ সরকার। জেলে গিয়ে বিনা চিকিতসায় মারা গেলেও, নিজের কথা না ভেবেই নিজের স্ত্রী এবং বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের সমস্ত অর্থ।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, যে মানুষটার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার, সেই মানুষটার পরিবারের টাকা দিয়েই নির্মিত হয়েছিল বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেগুলো হল- চট্টগ্রামের ডাক্তার খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয়, জে এম সেন হল, চট্টগ্রাম সংস্কৃতিক কলেজ, অপর্ণাচরণ বালিকা বিদ্যালয়, বরমা ডিগ্রি কলেজ, কুসুমকুমারী বালিকা বিদ্যালয়, জে এম সেন স্কুল এন্ড কলেজ, ত্রাহিমেনকা সংগীত মহাবিদ্যালয়, চন্দনাইশস্থ বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চ বিদ্যালয়।। এছাড়াও, ভারতের কলিকাতা ব্যারিস্টার যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত কলেজ, দুর্গাপুর ব্যারিস্টার যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত কলেজ সহ অজস্র প্রতিষ্ঠান, উন্নতমানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয় আরও কতকি।