বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাপানের মত ভারতেও এবার ছুটতে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। বন্দে ভারতের মতো দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর এবার পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানো হবে। উন্নত দেশ জাপানের অত্যাধুনিক ট্রেন ‘শিনকানসেন’ (Shinkansen) এবার আসতে চলেছে ভারতেও। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী বছরগুলি থেকে ভারতীয় রেলের ট্র্যাকে ছুটবে এই বুলেট ট্রেন।
কবে থেকে চালু হবে এই বুলেট ট্রেন (Bullet Train)পরিষেবা?
সম্প্রতি জাপান ঘোষণা করেছে, যে ভারতে E5 ও E3 সিরিজের ‘শিনকানসেন’ ট্রেন পাঠানো হবে। জাপানের সংবাদমাধ্যমেও এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার সময়ে ৩৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলবে বুলেট ট্রেন। রেল আধিকারিকরা এর আগে জানিয়েছিলেন, বিমানের টেক-অফ গতির সঙ্গে তুলনা করা হবে এই বুলেট ট্রেনের ট্রায়ালের এই গতি। তবে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে।
ভারতীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, মুম্বই থেকে আমেদাবাদ রেল করিডরের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রেল করিডরে পরীক্ষা করানোর জন্য জাপান থেকে দুটি ট্রেন পাঠানো হবে। ভারতে বুলেট ট্রেন চালু হলে মাত্র তিন ঘণ্টায় আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই পৌঁছে যাওয়া যাবে। জাপান থেকে সংগ্রহ করা ডিজাইন ব্যবহার করে, উন্নতর প্রযুক্তিতে (Advance Technology) নির্মাণ করা হচ্ছে রেলের সেতু, যা বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণ প্রযুক্তি।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকরা স্বস্তি পেলেও বিপাকে শিক্ষাকর্মীরা, সুপ্রিম রায়ের পরেই নবান্ন থেকে বিশেষ বার্তা মমতার
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) কথায়, ‘ভারতীয় রেল যে প্রথম করিডোরে করছে, মুম্বই, থানে, ভাপি, বরোদা, সুরাত, আনন্দ এবং আমেদাবাদ যুক্ত হবে। ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (NHSRCL) আধিকারিক জানান, ২০২৭ সালে এই ট্রেনের ট্রায়াল রান হওয়ার পর ২০৩০ সালে সম্পূর্ণভাবে এই ট্রেন চলবে এ দেশেও। এই মুহূর্তে জাপানের সহযোগিতায় এই প্রজেক্টের অনেকটাই কাজ এগানো গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ BANGLAHUNT EXCLUSIVE: বাংলা হান্টের খবরেই সিলমোহর, আগামীকালই বিয়ে দিলীপ ঘোষের! কোথায় হবে অনুষ্ঠান?
‘শিনকানসন’ মডেল সিরিজের E5 ও E3 সিরিজের ট্রেন দু’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বাধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন সিরিজ E10 যার Alfa-X নামেও পরিচিত। তবে প্রশ্ন উঠে আসছে ভারতীয়দের জন্য এই বুলেট ট্রেনের ভাড়া আদৌ কি অর্থ সাশ্রয়ী হবে? যাত্রীদের জন্য কী বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে ? স্পষ্টত এটুকু জানা যাচ্ছে, আরামদায়কতা, যাত্রাপথে সময় লাগার মতো বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে এই ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে।