বাঙালির জন্য গর্বের মুহুর্ত ! বর্ধমানের ছেলের হাত ধরে লাল গ্রহে নামবে রোভার

লাল গ্রহ মঙ্গলে (mars) বুকে নামবে নাসার (NASA) মহাকাশযান রোভার, আর তা ঘটবে এক বাঙালির হাত ধরেই। বর্ধমানের (Burdawan) ছেলে সৌম্য দত্তের বানানো সুবিশাল প্যারাশুটে চড়েই মঙ্গলে অবতরণ করবে ‘মার্স ২০২০ রোভার’।

IMG 20200920 120527

সৌম্যের বানানো প্যারাশুটটি এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে পাঠানো সবচেয়ে বড় প্যারাশুট। ১৫ জন মানুষ একে অপরের কাঁধে চাপলে যতখানি উঁচু হয় ততখানি এই প্যারাশুটের উচ্চতা। আগের মঙ্গল অভিযানে যে প্যারাশুটটি ব্যবহার করা হিয়েছিল তা শুধু এর কাছে ছোটই নয়, রীতিমতো ‘ব্যাকডেটেড’। এত বিশাল প্যারাশুট ছাড়া ‘মার্স ২০২০ রোভার’ কে ঠিক ভাবে অবতরণ করানো অসম্ভব বলেই জানা যাচ্ছে।

images 100 1

জানা যাচ্ছে, এত বড় প্যারাশুটের প্রয়োজনীয়তার বিশেষ কারন এবারের রোভারের অবতরণ প্রযুক্তি আগের তুলনায় আলাদা। এবার ল্যান্ডার ও রোভার মঙ্গলের মাটিতে নামার আগে কক্ষপথ প্রদিক্ষণ করবে না। বরং সরাসরি মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে তা দ্রুত লাল গ্রহের বুকে নামতে শুরু করবে।

রকেট থেকে যখন ল্যান্ডার ও রোভার আলাদা হবে তখন রকেটটির গতি থাকবে সেকেন্ডে সাড়ে ৫ কিলোমিটার। রকেটের গতিবেগ কোনো ভাবেই কমানো সম্ভব নয় তাতে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই লাল গ্রহের বুকে সুরক্ষিতভাবে এই ল্যান্ডার ও রোভার নামাতে বানানো হয়েছে এই বিশেষ প্যারাশুট।

শব্দের থেকে দ্বিগুন গতিবেগে নামবে এই প্যারাশুট৷ মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের সাথে সংঘর্ষে তা যাতে পুড়ে না যায় তার জন্য রয়েছে বিশেষ তাপরোধী ব্যাবস্থাও। ২১ মিটারের চেয়ে বড় এই প্যারাশুট খুলতে সময় লাগবে ১ থেকে ২ সেকেন্ড। প্যারাশুট খোলার সাথে সাথেই রাডারের ক্যামেরা অবরণের উপযুক্ত স্থান খুঁজতে শুরু করে দেবে।

 

সম্পর্কিত খবর