বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষকদের (Teacher) মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ কিংবা কখনো কখনো শিক্ষক ছাত্র সংঘর্ষে বারবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে একাধিক শিক্ষাঙ্গন। এবার সেই তালিকায় উঠে এলো বর্ধমানের ইউনিভির্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির নামও। কলেজ প্রাঙ্গনেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠল কলেজেরই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আসন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এখনো পর্যন্ত পরীক্ষার ফি জমা করেননি, তাদেরকে মানবিকতার খাতিরে পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে দেওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে অধ্যক্ষের তরফে একটি ভার্চুয়াল মিটিং ডাকা হয়। সেই মিটিংয়েই হাজির হয়েছিলেন শিক্ষকরা। অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র শহরের বাইরে থাকায় স্বশরীরে মিটিংয়ে হাজির হতে না পারলেও শিক্ষকরা প্রত্যেকে কলেজেই ছিলেন।
সেই আলোচনা চলার সময় হঠাৎই দুপক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরেই মৌখিক দ্বন্দ্ব রীতিমতো হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছায়। শিক্ষকদের মারধরের পাশাপাশি এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ ওঠে কলেজেরই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই সময় পড়ুয়াদের একাংশ দুটি পক্ষ নেয়। তাদের মধ্যেও বিবাদ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন বর্ধমান থানার পুলিশ। এরপর তাদের উদ্যোগেই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রের খবর, ঘটনার জেরে পার্থপ্রতিম সরকার ও অপূর্ব ঘোষ নামে দুই শিক্ষক আহত হন। এমনকি তাদের জামা-প্যান্ট পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেই শিক্ষকদের তরফে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অধ্যক্ষের কথায়, “গত এক বছর ধরে কলেজে অশান্তি পাকাচ্ছে কয়েকজন কর্মী। অমিয় ঘোষ ও প্রীতম দে নামে দুই কর্মী এদিন ওই শিক্ষকদের মারধর করেছে। আগেও তারা নানাভাবে হেনস্থা করেছে আমাকে।” তবে অতীতেও এই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে নানাভাবে হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে এলেও আপাতত অমিয়বাবু ও প্রীতমবাবু মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।