করোনা জেরে তিন বিদেশিকে জেলা ছাড়া করল বর্ধমানের পুলিশ-প্রশাসন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (corona virus) আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব(world)। ইউরোপের(Europe)  দেশগুলির মধ্যে ইতালিতে(italy) এর সংক্রমণ ছড়িয়েছে সবথেকে বেশি। এই অবস্থায় রেহাই মিলল না স্বাস্থ্যপরীক্ষার প্রমাণপত্র দেখিয়েও। ইতালির তিন মহিলাকে জেলা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তারপরেই পুলিশ এসকর্ট করে গুসকরা-মানকর রোড দিয়ে ২(2) নম্বর জাতীয় সড়কে তুলে দিয়ে আসে তাঁদের।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই তিন ইতালীয় মহিলা প্রতিনিধি গুসকরা পুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ইতালি থেকে আসছেন জানতে পেরেই শুরু হয় নানান রকম আলোচনা।

 

Capture o

গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশের কাছে খবর যায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন ইতালীয় নাগরিক এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সেখানে ছুটে যান। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে ওই তিন মহিলা এবং ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

খবর পেয়েই জামবনি এলাকায় পৌঁছে যান ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তখনই জেলা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় ওই তিন বিদেশিনীকে। প্রশাসনিক কর্তারা বলেন, “করোনা নিয়ে সর্বত্র আতঙ্কিত মানুষ। এই অবস্থায় যদি ওই বিদেশিনীদের উপর হামলা হয়, এই ভয়েই জেলা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের।”

বিদেশিনীরা জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ইতালি থেকে দমদম বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ছাড়পত্র মেলার পর তাঁরা ঝাড়খণ্ডে চলে যান। বুধবার বর্ধমানে এসে একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন। বৃহস্পতিবার প্রথমে আউশগ্রামের একপাড়াডাঙ্গা এলাকায় একটি হোম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যান গুসকরায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ওই জায়গা থেকে  চলে যেতে বলা হয়। এরপরেই ওই তিনজন চলে যান ভাতারের জামবনি এলাকায় অন্য আরেকটি প্রকল্প পরিদর্শনে।

 


সম্পর্কিত খবর