বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগেই ছোবল বসিয়েছে কোভিড, এবারে চাপ বাড়াচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়। ১৫ বছরের পুরনো বেসরকারি বাস বন্ধের কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে প্রবল বাসের সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে তিলোত্তমা মহানগরী। মাথায় হাত পড়েছে বাস মালিক সহ সাধারণ মানুষেরও। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সুরাহা চেয়ে বাস (Bus) বন্ধের হাইকোর্টের নির্দেশের পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে একাধিক বাস মালিক সংগঠন।
কিছু বছর আগে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেছে এমনি কোনও বাস আর কলকাতা শহর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ আর চালানো যায়না। দূষণ এড়াতেই এই পদক্ষেপ। এই নির্দেশ কার্যকর হতেই শহরের (Kolkata) রাজপথে হুড়মুড়িয়ে কমছে বাস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনার আগে শহরের (Kolkata) রাজপথে ৪ হাজার ৮৪০ টি বেসরকারি বাস চলত। এখন তা কমে হয়েছে মোটে ৩ হাজার ৬১৫। কোভিডের আগে মিনিবাস চলত ২ হাজার ৬৪। বর্তমানে তার পরিমাণ হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮। এদিকে গত তিন মাসে পনেরো বছরের গেরোয় আরও পাঁচশোর বেশি বাস বসে গিয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শহরে ১২০০ বাস ও মিনি বাস বসে যেতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ২০ ডিগ্রির নিচে নামবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা! রবিতে হবে বৃষ্টিও, আবহাওয়ার আগাম খবর
এই পরিস্থিতিতে যাতে ১৫ বছরের পরিবর্তে বাসগুলোর মেয়াদ ২০ বছর করা হয় রাজ্য সরকারের কাছে সেই আর্জি জানাতে চলেছে বাস সংগঠনগুলো। তাদের দাবি, রাজ্য সরকার তাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা। তবে এখনও সেই নিয়ে রাজ্য কোনো পদক্ষেপ না করায় নিজেদের মধ্যেই বৈঠক করে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলো।