অটোর পিছনে বাসের নম্বরপ্লেট! শহরের রাস্তা কাঁপাচ্ছে বেআইনি গাড়ি, তৃণমূলকে নিশানা সজলের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অটোর পিছনে জ্বলজ্বল করছে বাসের নম্বরপ্লেট! শহরের রাস্তা কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে বেআইনি গাড়ি। এবার একেবারে ‘প্রমাণ’ সহ সরব হলেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, বরানগর বিধানসভার অধীন সিঁথির মোড় থেকে কামারহাটি অবধি এই অটোগুলি চলাচল করে। ওই এলাকার তৃণমূলের (Trinamool Congress) কিছু ‘সমাজবিরোধী’ এই অটোগুলি নিয়ন্ত্রণ করে বলে দাবি করেছেন তিনি।

পুলিশকে খতিয়ে দেখার আবেদন সজলের (Sajal Ghosh)

বুধবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন পদ্ম নেতা। চারটি অটোর ছবি ও সেগুলির নম্বর প্লেট তুলে ধরেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোনও অটোর পিছনে বাসের নম্বরপ্লেট লাগানো রয়েছে, কোনওটির পিছনে আবার রয়েছে ছোটা হাতির নম্বর! মোটর ভেহিকেলসের বিশদ ডিটেলসও নিজের পোস্টে শেয়ার করেছেন সজল।

বিজেপি নেতা লেখেন, ‘আপনি হয়তো ভাবছেন অটো চড়ছেন, কিন্তু গাড়ির নম্বর অনুযায়ী দেখতে গেলে দেখা যাবে আপনি বাসে, ছোট হাতি বা এই জাতীয় কোন গুডস ভেহিকেলসে চড়ে যাচ্ছেন (গাড়ির নম্বরগুলোর সঙ্গে মোটর ভিকেলসের ডিটেলস মিলিয়ে দেখুন)l  এই রাজ্যে সব সম্ভব, আপনি চড়ছেন অটোতে, নম্বর প্লেটটা অন্য কোনও গাড়ির, অ্যাক্সিডেন্ট হলে আপনি ইনস্যুরেন্সও ক্লেম করতে পারবেন না’l

আরও পড়ুনঃ বৈঠকে বসছেন মোদী-মমতা! প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের পরেই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

সজলের দাবি, বরানগর বিধানসভার অধীন সিঁথির মোড় থেকে কামারহাটি অবধি এই অটোগুলি চলাচল করে। এগুলির নিয়ন্ত্রক ওই এলাকার তৃণমূলের (TMC) কিছু ‘সমাজবিরোধী’। তিনি লিখেছেন, ‘এই সমস্ত অটো চলে বরানগর বিধানসভার অন্তর্গত সিথির মোড় থেকে কামারহাটি। এই সমস্ত অটোর নিয়ন্ত্রক ওই অঞ্চলের তৃণমূলের কিছু সমাজবিরোধী আর এই গরিব (সবাই তো চোর নয়) অটোচালকদের থেকে তারা লাখ লাখ টাকা তোলা আদায় করে। আমি সেকেন্ড স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড মানে মমতা পুলিশের কাছে আবেদন করব বিষয়টা খতিয়ে দেখুন’।

Sajal Ghosh

বিজেপি নেতার দাবি, তদন্ত যদি হয়, তাহলে বেশ কিছুদিন এই নম্বরপ্লেটের অটোগুলিকে রাস্তায় দেখা যাবে না, এই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তিনি লেখেন, ‘এরকম আরও কত হাজার বেআইনি গাড়ি পশ্চিমবঙ্গের রাজপথ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে শুধু মমতার ঝান্ডার ছবি লাগিয়ে সেটা এখান থেকে সহজেই অনুমেয়’l

সজল (Sajal Ghosh) নিজের পোস্টে পুলিশের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন। রাজ্য পুলিশ, বরানগর থানা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকেও ট্যাগ করেছেন তিনি। আগামীতে এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X