বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এমনিতেই গত সাত-আট বছরে কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলিতে বন্ধ হয়ে গেছে একশোর বেশি সরকারি বাসের রুট (Bus Problem)। হুড়মুড়িয়ে কমছে বাসের সংখ্যা। যেখানে যাত্রী সংখ্যা ক্রমবর্ধমান সেখানে দিন দিন কমছে সরকারি বাস। যার জেরে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭-৮ বছরে শহর ও শহরতলি মিলিয়ে ১০০টির বেশি সরকারি বাস রুট রীতিমতো উধাও হয়ে গিয়েছে। যেখানে গত বছরও দিনে গড়ে প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি সরকারি বাস চলত সেখানে কমতে কমতে ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৭০০-র মতো। মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অবশ্য পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বলেন, খুব তাড়াতাড়ি কলকাতায় বিএস-৬ বাস নামানো হবে। এরই মধ্যে আবার চাপ বাড়াচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়। ১৫ বছরের পুরনো বেসরকারি বাস বন্ধের কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে প্রবল বাসের সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে তিলোত্তমা মহানগরী।
আরও পড়ুন: ‘ওনাকে ধরে নিয়ে আসুন..,’ পার্থর করা মামলায় CID-কে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
গত তিন মাসে পনেরো বছরের গেরোয় পাঁচশোর বেশি বাস বসে গিয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শহরে ১২০০ বাস ও মিনি বাস বসে যেতে চলেছে। ফলে দু’দিকের সাঁড়াশি আক্রমণে শেষমেশ বাস সঙ্কট কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেই নিয়ে বাড়ছে চিন্তা।
আরও পড়ুন: ‘ওই ৫ জনকে…’! থ্রেট কালচারের অভিযোগে সাসপেন্ড! এবার বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
এদিকে রাজ্যে একের পর এক বাস দুর্ঘটনার ঘটনায় লাগাম দিতে সম্প্রতি কমিশন প্রথা তোলার প্রস্তাব দেয় রাজ্য। যদিও তা কি করে সম্ভব হবে তা নিয়ে বাস সংগঠনগুলির মধ্যে গতকাল বৈঠক হয়। কমিশন প্রথা তুলে নিলে তার বিকল্প হিসেবে কোন পথ খোলা থাকবে সেই বিষয়ে সরকার তরফে কিছু জানানো হয়নি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বাস সংগঠনগুলির বৈঠক রয়েছে। তাতে কোনো সমাধানসূত্র বেরোবে বলেই আশায় বাস সংগঠনগুলি।