বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের সঙ্গীতা পান্ডে আর পাঁচটা সাধারণ গৃহবধূর মতো চুটিয়ে সংসার করছিলেন। তবে ছন্দপতন হয় বছর দশেক আগে। সঙ্গীতার পরিবার সম্মুখীন হয় প্রবল আর্থিক অনটনের। তবে ঘর-সংসার সামলে, বাচ্চাদের দেখাশোনা করে বাইরে কাজ করতে যাওয়া সম্ভব ছিল না সঙ্গীতার।
ব্যবসা (Business) করেই বাজিমাত সঙ্গীতা
তখন মাত্র ১৫০০ টাকা পুঁজি নিয়ে বাড়িতেই সঙ্গীতা শুরু করেন ব্যবসা (Business)। সেই ব্যবসা আজ পরিণত হয়েছে ৩ কোটি টাকার কোম্পানিতে। শুধু নিজে নয়, ব্যবসার মাধ্যমে সঙ্গীতা কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন অন্যদেরও। গোরখপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা সঙ্গীতা বাড়ি বসেই শুরু করেন মিষ্টির বাক্স তৈরির ব্যবসা।
আরোও পড়ুন : বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল বাংলার মুখ! কলকাতার মুকুটে নয়া পালক! সুখবর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
তখন তার পুঁজি বলতে সম্বল মাত্র ১৫০০ টাকা। সেই সামান্য টাকা দিয়েই মনের জোর আর আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে আজ ৩ কোটি টাকার কোম্পানি তৈরি করে ফেলেছেন সঙ্গীতা। সঙ্গীতা সাইকেলে চেপেই আনতে যেতেন বাক্স তৈরির কাঁচামাল। তারপর মিষ্টির বাক্স তৈরি করে পৌঁছে দিতেন দোকানে দোকানে। সঙ্গীতা জানান, প্রথম দিনই তিনি ১০০ টি মিষ্টির বাক্স তৈরি করেন।
তারপর গ্রাহকদের চাহিদা ও ইচ্ছা অনুযায়ী বদল আনেন বক্সের নকশা ও গুণগতমানে। তারপর যখন সঙ্গীতার ব্যবসা (Business) কিছুটা প্রসারিত হয়েছে, তখন তিনি ব্যাংক থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকায় তৈরি করেন কারখানা। সেই কারখানায় এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপন্ন করা হয় মিষ্টির বাক্স।
এই দীপাবলিতে সঙ্গীতা তার কারখানায় গোবর থেকে তৈরি বিশেষ জৈব প্রদীপ তৈরি করছেন। সঙ্গীতার কারখানায় বর্তমানে কাজ করছেন শতাধিক মহিলা কর্মচারী। ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সঙ্গীতা যেমন নিজের ব্যবসাকে (Business) নিয়ে গিয়েছেন নতুন উচ্চতায়, তেমনই কর্মসংস্থানের দিশা দেখিয়েছেন শতাধিক মহিলা।