বাংলাহান্ট ডেস্ক : হ্যান্ড পেইন্টের কাজের এখন বিপুল চাহিদা রয়েছে বাজারে। একটা সময় এই কাজ করার শিল্পীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে একদিকে যেমন চাহিদা বেড়েছে হ্যান্ড পেইন্টের, তেমনই রোজগারও বেড়েছে এই কাজে। আগে হ্যান্ড পেইন্ট মূলত শাড়ি বা কাপড়ের কাজে লাগত।
তবে বর্তমানে শুধুমাত্র বস্ত্র শিল্পের মধ্যে হ্যান্ড পেইন্ট সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে হ্যান্ড পেইন্ট করা ব্যাগ বাজারে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে। এই ধরনের ব্যাগের চাহিদাও রয়েছে বাজারে বেশ ভালো রকম। যেমন আসা যাক উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসিন্দা মৌসুমী দাঁর কথায়। ২০১৭ সালে মাত্র ১১০ টাকা বিনিয়োগ করেন।
আরোও পড়ুন : ৫ টাকার এই পাতা এক্কেবারে মহৌষধ! জলে ফুটিয়ে খান, কয়েকদিনের ঝরে যাবে শরীরের চর্বি
মৌসুমী শুরু করেন হ্যান্ড পেইন্টিং ও এমব্রয়ডারির কাজ করা ব্যগ তৈরি। এরপর তিনি বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ সাজিয়ে তুলেছেন রং-তুলি দিয়ে। বিভিন্ন মেলায় মৌসুমী এই হ্যান্ড পেইন্টিং ব্যাগ বিক্রি করেন। এই হ্যান্ড পেইন্টিং ব্যাগ মৌসুমী বর্তমানে ১০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। হ্যান্ড পেইন্টিং ব্যাগের মাধ্যমে মৌসুমী নিজেকে স্বনির্ভর করে তুলেছেন।
পাশাপাশি একাধিক মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে এর মাধ্যমে। মৌসুমী দাঁ বলেছেন, একাধিক চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার পরও চাকরি না মেলায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। রং, তুলি, আঁকাআঁকি বিষয়ে সামান্য জ্ঞান থাকায় তিনি হ্যান্ড পেইন্টিং ব্যাগ তৈরি শুরু করেন। বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড পেইন্টিং ব্যাগ তৈরি করে ভালো রোজগার হচ্ছে তার।