বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বাটলারের দুরন্ত শতরান এবং চাহালের পাঁচ উইকেট আরেকটু হলেই ব্যর্থতার খাতায় চলে যেত। ব্যাট হাতে তেমনটাই প্রায় করে ফেলেছিলেন উমেশ যাদব। কিন্তু শেষপর্যন্ত পারলেন না। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৭ রানে হারলো কেকেআর। কিন্তু নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই রাজস্থান বনাম কেকেআর ম্যাচ মরশুমের সেরা ম্যাচ হয়ে থাকবে। ম্যাচ জিতে পয়েন্টস টেবিলে ২ নম্বরে উঠে এলো রাজস্থান রয়্যালস, ৬ নম্বরেই রয়ে গেল কেকেআর।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন বাটলার। চলতি টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন তিনি। অপর ওপেনার দেবদত্ত পাডিকল কেবল বাটলারকে স্ট্রাইক তুলে দেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছিলেন। ব্যাট হাতে উমেশ, মাভি, কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী কাউকেই রেহাই দেননি বাটলার। পাওয়ার প্লে-এর ৬ ওভারে ৬০ রান তোলে রাজস্থান। এরপর নারায়ণ দশম ওভারে নারায়ণ দেবদত্তকে ফেরালেন তাতে বাটলারের ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি। ৫৯ বলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেন তিনি। ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা সহ ৬১ বলে ১০৩ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন তিনি। সেইসঙ্গে সঞ্জু স্যামসনের ৩৮ এবং শিমরণ হেটমায়ারের অপরাজিত ২৬ রানের ক্যামিওতে ভর করে ২১৭ রানের বিশাল লক্ষ্য কেকেআরের সামনে রাখে রাজস্থান।
জবাবে ফিঞ্চের সাথে নারায়ণকে ওপেন করতে পাঠায় কেকেআর। নারায়ণ খাতা খোলার আগেই রানআউট হয়ে ফিরলেও তাতে কেকেআর দমে যায়নি। ফিঞ্চ এবং শ্রেয়স আইয়ার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে লড়াইটা সমানে সমানে করে দেন। দুজনের মধ্যে ১০৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। তারপর ২৮ বলে ৫৮ রান করে ফিঞ্চ আউট হলেও লড়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়স। রানা ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই তাকে ফেরত পাঠান চাহাল। তারপর খাতা খোলার আগেই রাসেলকে বোল্ড করে নাইটদের বড় ঝটকা দেন রবি অশ্বিন।
তারপরেও কেকেআরকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু ১৭ তম ওভারে হ্যাটট্রিক সহ চার উইকেট তুলে ম্যাচ পুরোপুরি রাজস্থানের দিকে ঘুরিয়ে দেয় যুজবেন্দ্র চাহাল। একই ওভারে সেট হওয়া শ্রেয়স সহ, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শিবম মাভি এবং বিপজ্জনক প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে ইতিহাস তৈরী করেন চাহাল। প্রথম বোলার হিসাবে ২০২২ আইপিএলে ৫ উইকেট নেন তিনি। এরপরেও উমেশ যাদব বোল্টের ওভারে ২০ রান নিয়ে একটি মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত শেষ ওভারে তিনি এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার শেলডন জ্যাকসন ১১ রান তুলতে ব্যর্থ হন। শেষ ওভারে ২ উইকেট তুলে কেকেআরকে ২১০-এ অলআউট করে দেন ম্যাকয়।