সাইকেলে গিয়েছিলেন খাবার পৌঁছাতে, বাইক কেনার অর্থ পেলেন জোম্যাটো ডেলিভারি বয়!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মানুষ আরাম প্রিয়, তা সে সাধারণ সময় হোক কিংবা লকডাউনের গৃহবন্দী সময়, যে কোন পরিস্থিতিতেই আরাম থাকে প্রথম প্রাধান্য। আর সেই তালিকায় প্রথমেই থাকে বাড়িতে রান্না না করে, অর্ডার দিয়ে খাবার খাওয়া। রোদ, ঝড়, জল, বৃষ্টি হোক কিংবা লকডাউনের সময়- সঠিক সময়ে, ক্রেতার পছন্দসই খাবার হাজির করতে সদা প্রস্তুত ডেলিভারি বয়রাও (food delivery boy)।

এইভাবেই নিজের কাজ করতে হায়দ্রাবাদের (hyderabad) কিং কোটি এলাকায়, খাবার ডেলিভারি করতে গিয়েছিলেন মহম্মদ আকিল আহমেদ নামের একজন জোম্যাটো ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ (zomato delivery boy)। আগে খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রে দ্রুতই পৌঁছে যাওয়ার জন্য বাইক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে খরচ কমাতে, সর্বোপরি লকডাউনে তেলের খরচ বাঁচাতে সাইকেলে করেই খাবার ডেলিভারি করতে দেখা যায় ডেলিভারি বয়দের।

bjbvfkjb

সেইভাবেই সাইকেলে করে ২০ মিনিটেই সঠিক গন্তব্যে খাবার পৌঁছাতে গিয়েছিলেন মহম্মদ আকিল। কিন্তু মুকেশ নামের ক্রেতা সেই খাবার নেওয়ার পর হিসেব করে দেখলেন, প্রায় ৯ কিমি রাস্তা সাইকেল চালিয়েই খাবার ডেলিভারি দিতে এসেছিলেন মহম্মদ আকিল। এরপরই তিনি চিন্তা করলেন এই ডেলিভারি বয়ের জন্য কিছু করতে হবে এবং ডেলিভারি বয়ের একটি ছবিও তুলে নেন তিনি।

nbnbkjnbj

ভাবনা অনুযায়ী ফেসবুকে ফুডিজ গ্রুপে মহম্মদ আকিলের ছবি আপলোড করে, তাঁর জন্য সাহায্যের আবেদন জানান। এইভাবে প্রথম ১০ ঘণ্টার মধ্যেই ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হন। এরপর সব মিলিয়ে মোট ৭৩,৩৭০ টাকা ওই ডেলিভারি বয়ের হাতে তুলে দেন মুকেশ। সেই অর্থেই একটি বাইক কিনে দিলেন মহম্মদ আকিলকে। এইভাবে এক অজানা অচেনা মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছাতে গিয়ে, এই উপহার পেয়ে আবেগান্বিত হয়ে পড়েন আকিল।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর