বাংলাহান্ট ডেস্ক : সৌরনীলের মৃত্যু জন্ম দিয়েছে একাধিক প্রশ্নের। কলকাতা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে এই মৃত্যুর ঘটনার পর। বেহালায় (Behala) ট্রাকের ধাক্কায় মৃত স্কুল ছাত্র সৌরনীল সরকারের স্মরণসভার আয়োজন হয়েছিল আজ বরিশা হাই স্কুলে। স্মরণ সভায় উঠে এল মন খারাপ করা ছবি। বন্ধু থেকে শিক্ষক, সৌরনীল সরকারের জন্য চোখে জল সবার।
সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর পর হুঁশ ফিরেছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। জোর দেওয়া হয়েছে পথ নিরাপত্তায়। একাধিক জায়গায় বসেছে পুলিশ পিকেট। কিন্তু শিক্ষকদের আক্ষেপ এই তৎপরতা যদি আগে ভাগে নেওয়া থাকত তাহলে আজ হারাতে হতো না ছোট্ট একটা শিশুকে। চোখে জল নিয়ে সৌরনীলকে স্মরণ করলেন স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও।
শুক্রবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর আজ পুনরায় খুলেছে বরিশা হাই স্কুল। স্কুলের বাইরে ব্যবস্থা করা হয় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার। অভিভাবকরা যাতে পড়ুয়াদের নিয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটাচলা করেন সেই দিকে নজর রাখছে পুলিশ। শিশুকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে চলতে দেওয়া হচ্ছে না অভিভাবকদের।
এছাড়াও সাধারণ যাত্রীরা যাতে নিয়ম মতো জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার হন সেই দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, গতকাল রাত থেকে চৌরাস্তায় রাস্তার ধার থেকে গুমটি ও অস্থায়ী দোকান সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ভেঙে ফেলা হয়েছে ১০০টিরও বেশি অবৈধ দোকান।
এর ফলে প্রায় দু ফুট মতো চওড়া হয়েছে বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তা। এসব কিছুকে সঙ্গী করেই আজ বড়িশা হাইস্কুল স্মরণ করল ৭ বছরের সৌরনীলকে। স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, আমি যেন সবার সহযোগিতায় স্কুলকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারি।