“এখানে কাজ নেই, তাই বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে….,” করমণ্ডলে উঠে নিষ্পাপ স্বীকারোক্তি পরিযায়ী শ্রমিকদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ফের পথ চলা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আজ দুপুরে নির্দিষ্ট সময় হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে অভিশপ্ত এই ট্রেন। অপরদিকে আজ চেন্নাই থেকে হাওড়ায় আসে অন্য একটি করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গত শুক্রবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর আজ আতঙ্ক নিয়েই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে বসলেন যাত্রীরা।

শালিমার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরার জন্য ছিল যাত্রীদের লাইন। কেউ যাচ্ছেন চিকিৎসা করাতে, আবার কেউ যাচ্ছেন কাজের সন্ধানে।
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরাগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে সকল যাত্রীরা এই কামরাগুলিতে ছিলেন মৃতদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই বেশি। আহতও হয়েছেন বহুজন।

আজ দুর্ঘটনার রেশ কাটিয়ে যখন করমণ্ডল এক্সপ্রেস ফের পথ চলা শুরু করল তখন দেখা গেল স্টেশন চত্বরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়। এইসব শ্রমিকরা যাবেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস এর অসংরক্ষিত কামরাতে চেপেই। এই ট্রেনে কারোর গন্তব্য চেন্নাই, আবার কারোর গন্তব্য মাইসোর। এদিকে, গত শুক্রবারে দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস এর যাত্রীদের চোখে-মুখে ফুটে উঠছে আতঙ্ক।

Coromandel Express Migrant Worker

ট্রেনে ওঠার পর এক যাত্রীর বক্তব্য, “কাজের পারিশ্রমিক নেই এখানে। আড়াইশো টাকা দিন পিছু পাই। কিন্তু চেন্নাই বা উড়িষ্যাতে দিন পিছু ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা রোজগার করতে পারবো।” আজ করমন্ডলের s1 কামরার এক যাত্রী বললেন, “কাজের সন্ধানে কেরল যাচ্ছি। এখানে কাজ খুব কম। তবে ট্রেনে উঠতে ভয় লাগছে। খুব চিন্তা করছে বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাও যেতে হচ্ছে। কাজ তো করতে হবে!”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর