বাবার থেকে ৭৮ বছর বড় ছেলে! নদিয়ার রেশন কার্ড শেখাল ‘পিতা-পুত্রের” নতুন অঙ্ক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলায় আমাদের মধ্যে অনেকেই অংক করতে গিয়ে হাবুডুবু খেয়েছি। বিশেষ করে পিতা পুত্রের বয়সের অঙ্ক কষে আমাদের জীবন হয়ে উঠেছিল এক গোলকধাঁধা। কিন্তু আরো এক গোলকধাঁধার ছবি উঠে এসেছে নদিয়ার কর্মকার পরিবারে। এই পরিবারে বাবার বয়স ৪৫, মায়ের বয়স ৪০ এবং ছেলের বয়স ১২৩! এই অসম্ভব ব্যাপারটি সরকারি নথি অনুযায়ী বাস্তব।

বহুদিন কেটে গেলেও এই অসম্ভব অংক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোভাবেই মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার। শান্তিপুরের বাবলা এলাকার কর্মকার পরিবার কর্মসূত্রে থাকে মহারাষ্ট্রে। পরিবারের কর্তা সাধন কর্মকার সেখানেই থাকেন। তার বয়স ৪৫ বছর। কিন্তু তার পুত্র সূর্যর বয়স ১২৩!

রেশন কার্ডে এই ভুল ঠিক করতেই দিনের পর দিন সূর্যের মা শ্রাবণী শান্তিপুরে পড়ে রয়েছেন স্বামী, ছেলে, সংসার ছেড়ে। তিনি এই ভুল ঠিক করার জন্য ঘুরে ফেলছেন এই দপ্তর থেকে সেই দপ্তর। কিন্তু অংক কোনমতেই মিলছে না! কমানো যাচ্ছে না ছেলের বয়স। স্বামী, স্ত্রী এবং দুই পুত্র নিয়ে চারজন সদস্য কর্মকার পরিবারে। এই চারজন সদস্যের সরকারি নথিতে বিভিন্ন রকম ভুল রয়েছে।

Ration card

জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে জন্ম সূর্যর। কিন্তু রেশন কার্ডে সূর্যর জন্ম সাল লেখা ১৯০০। অর্থাৎ সূর্যের বর্তমান বয়স ১২৩ বছর। অন্যদিকে, সূর্যের ভাই সুব্রতর নাম বদলে গিয়ে হয়ে গিয়েছে সুকান্ত। এই ভুল ঠিক করতেই বর্তমানে শ্রাবণী রয়েছেন শান্তিপুরে। তিনি জানিয়েছেন, “ভুল সংশোধন করার জন্য সব নথি জমা দিয়েছি। তা সত্ত্বেও এমন ভুল কি করে হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। আমার বয়স ৪০ হলে কি করে আমার ছেলের বয়স ১২৩ হতে পারে?”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর