নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (CAB) পাস হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে কট্টরপন্থীদের উপদ্রব ও গুজব খবর ব্যাপক হারে চলছে। CAA এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন শহরে উপদ্রবকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার কাজে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে পশ্চিবঙ্গে লুঙ্গী বাহিনী বিগত কয়েকদিনে যে উপদ্রব করেছে তার দায় হিন্দুত্ববাদীদের উপর চাপানোর প্রয়াসও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
বেশ কিছু বিক্রিত সংবাদ মাধ্যম রেল স্টেশনে আগুন লাগানো, ট্রেন ভাঙচুর করার দায় লুঙ্গির বাহিনীর মাথার উপর থেকে সরিয়ে হিন্দুত্ববাদী ও RSS কর্মীদের উপর দিচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অর্থাৎ লুঙ্গি বাহিনীকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু এই নয় যারা CAA এর বিরোধিতা করছে তারা অনেকেই এর অর্থ বোঝেন না। শুধুমাত্র দাঙ্গা করার জন্য ভিড় তৈরি করছেন।
আবার এমনও অনেক ব্যাক্তি মিলছে যাদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে CAA ও NRC দুটি মিলে মুসলিমদের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভুল তথ্য দ্বারা উস্কানি পেয়ে অনেকে দাঙ্গা বাঁধাতে জমা হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে শিয়া আলেম ও মজলিসে উলামায়ে হিন্দ সাধারণ সম্পাদক মমৌলানা কালবে জাওয়াদ বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে সিএএ থেকে মুসলমানদের কোনও ভয় নেই।
এই আইন সম্পর্কে কারও যদি কোনও বিভ্রান্তি থাকে তবে বিশেষজ্ঞদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত।মাওলানা কালবে জাওয়াদ বলেছেন, “CAA এবং এনআরসি দুটি আলাদা জিনিস। এনআরসি এখনও পর্যন্ত কেবল আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি ভারতজুড়ে কার্যকর করা হয়নি। এনআরসিতে বিধি কী হবে তা আমরা এখনও জানি না। রাজনৈতিক দলগুলি এ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করছে। মুসলমানদের প্রতি সংযম বজায় রাখার আবেদন করছি। ”
শিয়া আলেম শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর, 2019) জুমার নামাজের আগে বড় ইমামবাড়ার আসফি মসজিদে শিয়া মুসলিমদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন করেছিলেন এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের (এনআরসি) বিরোধিতা না করার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে বর্তমানে এটি কেবল আসামে প্রযোজ্য। আসলে সরকার NRC এর বিষয়ে এখন বিশেষ কিছুই জানায়নি। তা সত্ত্বেও মানুষকে ভুল ভাল উস্কানি ও ভয় দেখিয়ে দাঙ্গা ফ্যাসাদ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে।