বাংলাহান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ কার্যকর হয়েছে গত সোমবার থেকে। তবে এই আইন কার্যকর হবে না সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে বিশেষ মর্যাদা প্রাপ্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির অধিকাংশ উপজাতি অঞ্চলে। এর কারণ কী আপনি জানেন? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-পূর্বের যে সব রাজ্যে দেশের অন্যান্য অংশের বাসিন্দাদের সফরের জন্য ইনার লাইন পারমিটের (আইএলপি) প্রয়োজন হবে, সেখানে কার্যকর হবে না CAA। ILP সেক্ষেত্রে কার্যকর রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং মণিপুরে।
আরোও পড়ুন : একধাক্কায় ৮টি স্টেশনের নাম বদল! লোকসভা ভোটের আগে কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?
আধিকারিকদের মতে, CAA এর আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে যে উপজাতি অঞ্চলগুলিতে স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ তৈরি করা হয়েছিল সেই সব অঞ্চলকে। এই ধরনের স্বায়ত্ত্বশাসিত পরিষদ রয়েছে অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায়।
আরোও পড়ুন : ভোটের আগেই মোটা টাকা বেতন বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের, কাদের খুলছে কপাল? বড় আপডেট
অসমের কার্বি আংলং, দিলা হাসাও ও বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল এলাকা, মেঘালয়ের গারো পাহাড় এবং ত্রিপুরার আদিবাসী এলাকা পড়ছে এরমধ্যে। CAA-তে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যে হিন্দু, জৈন, খ্রীস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিরা ভারতে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
নাগরিকত্ব আইন গোটা দেশজুড়ে কার্যকর হওয়ার পর অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখা গেছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এনিয়ে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আমি অসমের সন্তান এবং রাজ্যে এনআরসির জন্য আবেদন করেননি এমন একজনও যদি নাগরিকত্ব পান, তাহলে আমিই হব প্রথম পদত্যাগকারী।’
CAA বিরোধীরা অসমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও আদিবাসী সংগঠন প্রস্তুতি নিচ্ছে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের জন্য। এই আবহে আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।