নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ! পরিস্থিতি শান্ত হতে চলেছে অসমের, সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ সেনার

Last Updated:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী খসড়া প্রস্তাবের আগে থেকেই সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল অসম। রাজ্যের মানুষ দফায় দফায় প্রতিবাদ, ধরনা দেন। কিন্তু এসবে কোনো কাজই হয়নি। লোকসভায় তো পাশ হয়েছে তারসঙ্গে রাজ্য সভাতেও পাশ হয়েছে নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদ মিলেছে। ব্যাস তারপর থেকে অসমের বিভিন্ন এলাকা, ত্রিপুরা ক্রমশ ক্ষোভের আগুনে ফু্ঁসছে। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পথে অবরোধ। বন্ধ স্কুল কলেড।

এমনকি স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারাও ক্যাবের বিরোধিতায় ধ্বনি তুলেছে। বিশেষ করে বৃহ্সপতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়েছে অসমের বিভিন্ন এলাকা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নামানো হয়ে কয়েক কোম্পানির আধা সেনা। এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। জারি হয়েছিল কার্ফু। তবে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টে অবূধি কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।অন্যদিকে ডিব্রুগড়ে সকালে ৮ টা থেকে দুপুর দুটো অবধি কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।

পাশাপাশি, সেনাদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সতর্ক থাকার পরামর্ষ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনোরকম মন্তব্য শেয়ার না করা কিংবা কোনো পোস্টের মন্ত্বয না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অসমের রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছেন, ”আমরা শান্তি ফিরিয়ে আনছি । আজ পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো । আমরা সতর্ক আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা দিনরাত কাজ করছি । তবে এখনও অবধি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধই রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে।

বুধবার নাগরিকত্ব বিল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটে আশার বানী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি।  আর এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের নিশানায় রয়েছে বিজেপি নেতারা।যেহেতু বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে তাই বিক্ষোভকারীরা বিজেপি নেতাদের টার্গেট করেছে বলেই শোনা যাচ্ছে।

 

X