বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেই তীব্র গরম, তার ওপর দফায় দাফায় লোডশেডিং (Loadshedding)। হাতিবাগান থেকে হালতু, টালা থেকে টালিগঞ্জ, বিগত কয়েকদিন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে নাজেহাল। বৃহত্তর কলকাতার একাধিক জায়গা দিনের বেলার পাশাপাশি রাতের বেলাও সম্মুখীন হচ্ছে লোডশেডিংয়ের। এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
কেন আগাম প্রস্তুতি নিল না সিইএসসি (Calcutta Electric Supply Corporation Limited), এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। অন্যান্যবারের মতো এবারও সিইএসসি এই বিপর্যয়ের দায় ভরা ঠেলেছে এয়ারকন্ডিশনের ওপর। সিইএসসি বলছে, এসি কেনা হলে বাড়ির মালিকরা সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না বিদ্যুৎ সংস্থাকে। তাই লোড অনুযায়ী সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিদ্যুৎ।
আরোও পড়ুন : রুটির দাম ২৫ টাকা, ৮০০-তে বিকোচ্ছে এক কেজি আটা! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কাঙাল পাকিস্তানে
সিইএসসির একটি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ১লা মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার এয়ারকন্ডিশন মেশিন। তবে সিইএসসি মাত্র ৩৮ হাজার এসি লোডিংয়ের আবেদন পেয়েছে। তাই ওভারলোডের ফলে পুড়ে যাচ্ছে ট্রান্সফরমার। সিইএসসি সূত্রে খবর, রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাধিক হয়।
আরোও পড়ুন : গুরুতর অসুস্থ সোহম! হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফাঁস ‘আসল কারণ’! কী হয়েছে TMC বিধায়কের?
বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ২৫০০ মেগাওয়াট। অংকের হিসাব অনুযায়ী, এক হাজারটি এক টনের এসিতে মোট ১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। সিইএসসি হিসাব অনুযায়ী প্রস্তুত রাখে বিদ্যুৎ। তবে সিইএসসি বলছে অনেক বাড়িতে দুটি বা তিনটি এসি থাকার কথা বলা হলেও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে তিনটি বা চারটি এসি।
গত বছর ১৬ই জুন বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাধিক উচ্চতায় পৌঁছায়। ওই তারিখে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সাপ্লাই করেছিল ২,৬০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে গত শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙে বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ২,৭২৮ মেগাওয়াটে। এমন অবস্থায় অনেকেই বলছেন, সিইএসসির পরিকল্পনাতে খামতি রয়েছে।