CBI কর্মপদ্ধতি নিয়ে হতাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, SSC তদন্ত নিয়ে করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এই দুর্নীতির শিকড় যে আরও গভীরে তা সহজেই অনুমেয়। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার উচ্চআদালতে শুনানির সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে ব্যক্ত করলেন একরাশ হতাশা। এদিন এসএসসি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি গত বছর নভেম্বর মাসে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। প্রায় আট মাস হতে চললো, কিন্তু কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। আমার মনে করছি সিবিআইয়ের থেকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম অনেক ভাল কাজ করে।’

এদিন ওই শুনানির সময়ে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও তাঁর সওয়ালের সময়ে বলেন, ‘সিবিআই অনেক মামলার তদন্ত করছে ঠিকই। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিবিআইয়ের তদন্তে অভিযুক্তের সাজা হয়েছে এমন কোনও নজির সারা দেশ জুড়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

সিবিআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে এজলাসের মধ্যেই আলোচনা চলতে থাকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সোমবার দুপুরেই একটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। কিন্ত তাও কতটা সফল হবে তা আমিই ঠিক জানি না।’

এরপর সিঙ্গুরে তাপসী মালিক খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সাত দিন বাদে সমস্তটাই অন্ধকারে চলে যায়। সাতদিন সংবাদমাধ্যম সেটা নিয়ে আলোচনা করে। পরে সবাই সব ভুলে যায়।’

সিবিআইয়ের লোকবল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কল্যাণবাবু। তাঁর কথায়, ‘একধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও ওদের পর্যাপ্ত লোকই নেই। তাই তদন্তের অগ্রগতিও শতাংশের হিসাবে ক্রমাগত নিচের দিকেই।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর