বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) নিয়ে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা বা দিনক্ষণ নিয়ে হস্তক্ষেপ না করলেল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে আবেদন জমা পড়েছিল, তাতে সাড়া দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়, শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামতে হবে সুরক্ষা নিরাপত্তার স্বার্থে।
আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজ্যের সমস্ত স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে ভোট করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়েই। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকায় রাজ্য পুলিশের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম সেখানেও ধীরে ধীরে মোতায়েন হবে সেন্ট্রাল ফোর্স।
এই মুহূর্তে স্পর্শকাতর হিসেবে রাজ্যের ৭টি জেলাকে চিহ্নিত করল হাইকোর্ট, যত দ্রুত সম্ভব সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কড়া নির্দেশ আদালতের। শান্তিতে নির্বাচন করতে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই, রায় আদালতের। তবে বিরোধীদের অনলাইনে মনোনয়ন পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force), অনলাইনে মনোনয়নের মতো কয়েকটি দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায় রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাতেই পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তেই ঘোর আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
সেই মামলাতেই আজ মঙ্গলবার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে আদালতের নির্দেশ সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি লাগানো সম্ভব হবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।
পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়েও বড় রায় দিল আদালত। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রাজ্যের সার্কুলারের বাইরে ভোটের কোনও কাজে তাদের নিয়োগ করা যাবে না। ভোট নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকে।