বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার হাইকোর্ট থেকে বড়সড় ঝটকা খেল। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ জারি করে রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নির্যাতিতদের অভিযোগ জমা নিতে আর তাঁদের রেশন, মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহ করতে বলেছে।
হাইকোর্ট পুলিশ ছাড়া রাজ্য সরকারকেও একই নির্দেশ জারি করেছে। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে বলেছে যেন, সমস্ত নির্যাতিতাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো হোক আর যাদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের রেশন দেওয়া হোক। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের কাছে বড়সড় ঝটকা বলেই মেনে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, রাজ্য সরকার লাগাতার হিংসার ঘটনা খারিজ করে আসছে। এছাড়াও হাইকোর্ট যাদবপুরের এসপি আর বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিককে শোকজ জারি করেছে। মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের উপর যাদবপুরে হামলা হওয়া নিয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকোর্ট।
WB post poll violence: Second autopsy of BJP worker Abhijeet Sarkar to be conducted at Command Hospital Kolkata, orders Calcutta High Court. It also issues show-cause notice to DM, police head/SP of Jadavpur asking as to why contempt proceedings should not be started against them
— ANI (@ANI) July 2, 2021
বৃহস্পতিবার বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত এই মামলায় রাজ্য সরকার, কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মামলার পক্ষ করা হয়েছে। যদিও, ওনাকে কোনও নোটিশ পাঠানো হয়নি।
শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়ে অভিমত জানতে চেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত সারান এবং বিচারপতি মহেশ্বরীর বেঞ্চের পাঠানো নোটিশে সব পক্ষের কাছেই মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। নিগৃহীত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে এও জানতে চাওয়া হয়েছে যে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা এবং আধাসেনা নামানো নিয়ে কেন্দ্রের কী মত।
উল্লেখ্য, বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও গোটা দেশের ২ হাজারের বেশি মহিলা আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে চিঠি লিখে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার পর নারী নির্যাতনের মামলা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। আরেকদিকে, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে চিঠি লিখে বাংলার হিংসা নিয়ে অবগত করিয়েছিলেন