বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পরেই শিরোনামে উঠে এসেছে হাসপাতালে হওয়া নানান আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গত শুক্রবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার সেই মামলা উঠতেই বিরাট নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে সিবিআই (Calcutta High Court)!
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির জমা দেওয়া রিপোর্টে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্যও দিয়েছে সিবিআই (CBI)। কেবল স্টল বণ্টন অথবা টেন্ডার ছাড়া কাজ পাইয়ে দেওয়াই নয়, আরজি করে সন্দীপ ‘জমানা’ শুরু হওয়ার পর থেকে নানান ক্ষেত্রে যে নিয়োগ হয়েছে, সেখানেও দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
- বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের!
আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)। সেই সঙ্গেই হাতকড়া পরানো হয়েছে দুই ভেন্ডর বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং সন্দীপের দেহরক্ষী আফসার আলিকে। জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ এই দুই ভেন্ডর হাসপাতালে যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্ব পেতেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শুধু এই কয়েকজন নয়, এই চক্রে আরও বেশ কয়েকজন অফিসার, কর্মী যুক্ত থাকতে পারেন। তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার কাজে ফিরুন! সুপ্রিম-শুনানির পরদিনই ‘আসরে’ নামলেন অভিষেক, কী কী লিখলেন TMC সেনাপতি?
জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে আরও সময় দরকার। আরজি কর বাদে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও এই চক্রের জাল ছড়িয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্ট সেই আর্জি মেনে নিয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির দেওয়া রিপোর্ট পড়ে আদালত (Calcutta High Court) জানায়, রিপোর্ট দেখা হয়েছে। এরপর আরও বিশদ রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।
গতকাল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, আগামী ২৫ নভেম্বর ফের সিবিআই এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেবে। জানা যাচ্ছে, এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এএসজি অশোক চক্রবর্তী এবং আইনজীবী অমাজিৎ দে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানিয়েছেন, তদন্তে বেশ কিছু নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এরপরেই তদন্তের জন্য সিবিআইকে আরও সময় দেয় আদালত।