বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজনীতি। তার আঁচ বাংলায় এসে পড়ায় হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া সহ একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পুলিশের গাড়ি উদ্দেশ্য করে বোমা, গাড়ি ভাঙচুর এবং ইট বৃষ্টির ঘটনায় দুর্ভোগের শিকার হয় বহু মানুষ। এর মাঝেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকায় 144 ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাঝে আবার নতুন করে জন্মালো এক বিতর্ক।
সম্প্রতি, রাজ্য পুলিশ দ্বারা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়া যেতে বাধা দেওয়া হয় আর এই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তা অভিযোগ এনে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার আর্জি জানান আইনজীবী আদিত্য মণ্ডল এবং সেই আর্জিরই মান্যতা দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতির শম্পা সরকার।
পয়গম্বর ইস্যুতে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চালায় কিছু বিক্ষোভকারীরা। এর মাঝেই বিজেপির বেশ কয়েকটি কার্যালয় ভাঙা হয়, যার পর হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় রওনা দিতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক্ষেত্রে প্রথমে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। যদিও পুলিশি উপেক্ষা না শুনে অগ্রসর হতে গেলে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই একই দৃশ্য দেখা যায় গতকাল, যখন শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়া যেতে বারণ করে একটি চিঠি পর্যন্ত দেয় কাঁথি থানা। তাঁর বাড়ির সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং পরবর্তীকালে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ সৃষ্টি হয় শুভেন্দুর।
এই সকল ঘটনা নিয়ে পুলিশি অতি সক্রিয়তা অভিযোগ এনে এদিন হাইকোর্টে মামলার আর্জি জানান এক আইনজীবী। বর্তমানে সেই আবেদনে মঞ্জুর প্রদান করলো হাইকোর্ট।